পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BC অমর প্রেম যাচ্ছি। যুথি ততক্ষণ থােকাকে নিয়ে একটু বেড়াক। যুথিকা রান্নাঘর হইতে ছাড়া পাইয়া থােকাকে কোলে তুলিয়া অমরের ঘরের দিকে আসিল। তারপর দুপদাপ করিতে করিতে আবার রান্নাঘরে ফিরিয়া আসিয়া বলিল, ও দিদি ভাই, অমর-দা তােমার লেখা নােঢ় পড়ছেন। লজ্জায় লতিকার মুখ রাঙা হইয়া উঠিল। মাথা নীচু করিয়াই সে রুটি বেলিতে লাগিল। মনে মনে যুথিকার উপর রাগ করিয়া ভাবিল ভারি নূতন খবর নিয়ে এলেন। একথাটা আর মায়ের কাছে এসে না বল্লে হত না? মেয়ে যেন কি ! মেয়ে ততক্ষণ অমূল্য সংবাদ দিয়াই রান্নাঘর ত্যাগ করিয়াছে। সুহাসিনী একবার অপাঙ্গে কন্যার লজ্জানত মুখের পানে চাহিয়া দেখিলেন। মনের মধ্যে একটা কথার উদয় হইল। জোরে একটা নিশ্বাস পড়িল। নিশ্বাসের শব্দে লতিকা মুখ তুলিয়া চাহিল। দেখিল মা উনানের দিকে মুখ করিয়া একমনে রুটি সেঁকিতেছেন। রামপ্রসাদ বাহির হইতে ডাকিল—মা! সুহাসিনী বলিল—আয় ! একবারে হাত মুখ ধুয়ে আয়, খাবার হয়েছে। মনােহর আপনার ঘরে ঢুকিয়া অমরকে দেখিয়াই বলিলেন—এই যে অমর, কতক্ষণ এসেছ? অমর বলিল, ঘণ্টাখানেক হ’ল এসেছি। আপনি স্কুলের এই খাটুনির পর সঙ্গে সঙ্গে টিউশনি করেন কেন আর ? মনােহর। কি করি অমর। নইলে যে কুলুতে পারিনে। এই সময়ে তবু ৫টা ছেলেকে একসঙ্গে পাওয়া যায়, যা দেয় তাই লাভ। তবু তত কিছু কাজে লাগে।