পাতা:অমৃত-দ্বীপ - হেমেন্দ্রকুমার রায় (১৯৪০).pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
অমৃত দ্বীপ

কাপ্তেনের কাছে চললুম, আরো তাড়াতাড়ি ঐ দ্বীপে গিয়ে উঠতে না পারলে আর রক্ষা নেই!”

 সুন্দরবাবু আঁৎকে উঠে বললেন, “বোম্বেটেরও চেয়ে ভয়াবহ শত্রু? ও বাবা, বলেন কি?”

 —“হ্যাঁ, হ্যাঁ, সুন্দরবাবু! এমন আর এক শত্রু আমাদের আক্রমণ করতে আসছে, যার নামে ভয়ে কাঁপে সারা দুনিয়া! তার সামনে আমাদের অটোমেটিক বন্দুকও কোন কাজে লাগবে না!”

 —এই ব’লেই বিমল জাহাজের ‘ব্রিজে’র দিকে ছুটল দ্রুতপদে।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

সুন্দরবাবুর সাগর-স্নান

 চোখে দূরবীণ লাগিয়ে জয়ন্ত যা দেখলে তা ভয়াবহই বটে!

 বোম্বেটেদের জাহাজেরও অনেক পিছনে— বহু দূরে, আকাশ ও সমুদ্রের চেহারা একেবারে বদলে গেছে! নীচে বিপুল মাথা-নাড়া দিয়ে উঠেছে প্রচণ্ড, উন্মুত্ত, বৃহৎ তরঙ্গের পর তরঙ্গ— বলা চলে তাদের পর্ববত-প্রমাণ! তারা লাফিয়ে উপরে উঠছে, ঝাঁপিয়ে নীচে পড়ছে, আবার উঠছে, আবার নামছে এবং ঘুরপাক খেতে খেতে ফেনায় ফেনায় সেখানকার নীলিমাকে যেন খণ্ড খণ্ড ক’রে দিয়ে এগিয়ে আসছে উল্কার মতন তীব্রগতিতে! উপরে আকাশেরও রং হয়ে গেছে কালো মেঘে মেঘে ঘোরা-রাত্রির মতই অন্ধকার! বেশ বোঝা যায়, জেগে উঠেছে সেখানে সর্ব্বধ্বংসী আকস্মিক ঝঞ্চাবায়ু—যার