বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অলৌকিক নয়, লৌকিক (দ্বিতীয় খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পত্র পত্রিকার খবরে ভূত
১৪১

সনৎবাবু একটা শো-কেসের ওপরে পাতা আধ-পোড়া খবরের কাগজ থেকে কিছুটা ছিঁড়ে দিলেন, গন্ধ শুকলাম। কোনও তীব্র বিশেষ গন্ধ পেলাম না, যেটা মেটালিক সোডিয়ামের সাহায্যে জ্বালালে হত। সবার সামনে কাগজে কিছুটা জল ঢেলে দিতেই খবরের কাগজের রঙ মুহূর্তে হয়ে গেল হালকা বেগুনি। যেমনটা পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেটে জল পড়লে হওয়া উচিত। ঘরে তখন অনেক দর্শক। আগুনের ক্ষেত্রে যে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেটের একটা প্রবল ভূমিকা ছিল এটা বুঝিয়ে দিয়ে বললাম, এর সঙ্গে গ্লিসারিন মিশলেই বিক্রিয়ায় আগুন জ্বলে, আর এ ভাবেই প্রতিটি ক্ষেত্রে আগুন জ্বালানো হয়েছে। পটাশিয়াম মেশানো জল জিভে চেটে দেখলেন আজকাল-এর চিত্র-সাংবাদিক অভিজিৎ মুখার্জি, চাখলেন সনৎবাবু। দুজনেই একমত—হ্যাঁ, পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেটই।

 পরিবারের সকলের সঙ্গেই আলাদাভাবে কথা বললাম। বাইরের কারও পক্ষে এই ঘরে বিভিন্ন সময়ে ঢুকে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ও গ্লিসারিন আগুন জ্বলে ওঠার মতো করে গুছিয়ে রেখে যাওয়া অসম্ভব। সুতরাং এটা ভাড়াটে বা কোনও প্রমোটারের পরিকল্পনার অঙ্গ হতে পারে না। তবে যে জ্বালাচ্ছে, সে এই দুটির ব্যবহার বিষয়ে ওয়াকিবহাল। আমাদের সমিতির ‘অলৌকিক, নয়, লৌকিক’ বইটি


আগরপাড়ায় সদানন্দ দাসের বাড়িতে যুক্তিবাদী সমিতির সদস্যরা। শুক্রবার
ছবি : অভিজিৎ মুখার্জি, ১ মে, ১৯৯৩ আজকাল