আছেন? তিনি জিতলে আমি দেব পঞ্চাশ হাজার টাকার প্রণামী, সেইসঙ্গে থাকব চিরকাল তাঁর গোলাম হয়ে।”
১৯৮৮-র ১১ ডিসেম্বর এক সাংবাদিক সম্মেলনেও আমাদের সমিতির তরফ থেকে ঈপ্সিতাকে আহ্বান জানিয়েছিলাম তাঁর অলৌকিক ক্ষমতার প্রমাণ দেওয়ার জন্যে হাজির হতে। রোগী দেব। রোগমুক্তি ঘটাবার জন্যে দেব ছয় মাস সময়। কিন্তু আমাদের সমিতির আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও ঈপ্সিতা সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হওয়ার ধৃষ্টতা দেখাননি। দেখালে তাঁর বুজরুকি সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে পড়ত।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মহকুমা শহর বনগাঁর গা ছুঁয়ে ঘাটবাওড় গ্রাম। ‘হাজি-বাড়ি’ গ্রামের সম্ভ্রম জাগানো সচ্ছল পরিবার। এই পরিবারেই মানুষ মেহেবুব আলি। বয়স তিরিশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। স্বল্প উচ্চতার মাঝারি চেহারার মানুষটির ঝকঝকে দুটি চোখ বুদ্ধির সাক্ষ্য বহন করছে।
১৯৮৯-এর মে মাস নাগাদ দাবানলের মতো একটা খবর দ্রুত আশপাশের অঞ্চলগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে লাগল—মেহেবুব আলির বকনা (স্ত্রী বাছুর) দুধ দিচ্ছে। যে কোন একটি রোগ আরোগ্যের প্রার্থনা নিয়ে পরস্পর তিনদিন ওই