পাতা:অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
২৭৯
অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড)
২৭৯

________________

Psycho-kanesis বা Pk (মানসিক শক্তি) ২৭৯ | হ্যা। শেষ পর্যন্ত তিনবার কান ধরে ওঠ-বস করার পরেই রূপরাজ ওরফে বিশ্বরূপ ওরফে প্রদীপ ঈপ্সিতা, শকুন্তলাদেবী, সাঁইবার, পারমিতা, পাগলাবাবাদের দলেই নাম লিখিয়ে বিদায় নিলেন। প্রবীর’ বিজয় হলাে না। শরীর থেকে বিদ্যুৎ ১৯৮৫ সালের ২৫ মে আনন্দবাজার পত্রিকায় একটি অলৌকিক’ খবর প্রকাশিত হয়। পত্রিকায় প্রকাশিত পুরাে খবরটাই আপনাদের আগ্রহ মেটাবার জন্য তুলে দিচ্ছি। অলৌকিক • নয়াদিল্লি ২৪মে—জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র তার শরীর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছুরণ করতে পারেন। “আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে গবেষণারত এই ছাত্রের নাম সত্যপ্রকাশ। তার শরীরে উৎপন্ন বিদ্যুৎ দিয়ে তিনি ৬০ থেকে ২০০ ওয়াটের ইলেকট্রিক বালব জ্বালাতে পারেন। অবশ্যই অতি মৃদু আলাে। এমনকি মাথা দিয়েও ওই বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারেন তিনি। ২৮ বছরের সত্যপ্রকাশ তার এই বিস্ময়কর ক্ষমতাটি লােকে সামনে দেখানাের আগেমিনিট দুই ঘরবন্দী থাকেন। প্রাণায়াম ধরনের ব্যায়াম করেন এবং ধ্যানমগ্ন হয়ে থাকেন কিছুক্ষণ। তখনই তার ওই শক্তি সঞ্চয় ঘটে। সত্যপ্রকাশ বলেছেন, বাতাস আর্দ্র না হলে এবং ঝােড়াে বাতাস না থাকলেই এই ক্ষমতা দেখাতে তার সুবিধা হয়। ৪৮ ঘণ্টা অনশন করে থাকতে পারলে আরও ভালাে। বছর দুয়েক আগে সত্যপ্রকাশ হঠাৎ একদিন এই অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী হন। তিনি তখন হস্টেলে প্রাণায়াম ব্যায়াম করছিলেন। হঠাৎ বােধ করেন যে, তার শরীর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছুরণ হচ্ছে। —পি. টি. আই। পি. টি. আই-এর দেওয়া এবং আনন্দবাজারে প্রকাশিত খবরটা ওপর ভিত্তি করে আমি সত্যপ্রকাশকে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানায় চিঠি দিই ২৭.৫.১৯৮৫ তে। তাতে লিখেছিলাম-“পত্রিকায় আপনার অলৌকিক ক্ষমতার দ্বারা আপনার শরীরে বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারেন এবং সেই তৈরির বিদ্যুৎ দিয়ে মৃদু আলাে জ্বালাতেও সক্ষম। আমি একজন যুক্তিবাদী এবং আপনার অলৌকিক ক্ষমতার দাবির বিষয়ে অনুসন্ধানে আগ্রহী। আশা করি আমার এই সত্যানুসন্ধানে আপনি সহযােগিতা করবেন। আপনার সুবিধামতাে এবষ্টা তারিখ দিলে আমি সেই তারিখে দিল্লি গিয়ে একটি নিরপেক্ষ স্থানে কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আপনার অতীন্দ্রিয় ক্ষমতার পরীক্ষা নিতে পারি। অনুগ্রহ করে তারিখটা এমনভাবে ফেলবেন যাতে আপনার চিঠি পাওয়ার পর আমি একমাসের মতাে হাতে সময়