পাতা:অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩৭

অধ্যায়: এক

প্রস্তাবনা

আকস্মিকতার চেয়ে ধারাবাহিকতাই বেশি

মে, ২০০৬ জিনতত্ত্বের সবচেয়ে বড় আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে সামগ্রিক জেনেটিক কোড জানা সম্পূর্ণ করলেন বিজ্ঞানীরা। ক্রোমোজম ১-এর সিকুয়েন্সিং বাকি ছিল। এবার সেটির কাজ শেষ হলো। এর ফলে ক্যানসার, অলজাইমারস্ ও পারকিনসনসের মতো অন্তত ৩৫০টি রোগের গোপন রহস্য জানা সম্ভব হবে। এইসব রোগের আরোগ্য এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিশ্বখ্যাত জিনতত্ত্বের বিজ্ঞানীরা মানব সভ্যতাকে এক লাফে এগিয়ে দিলেন অনেকটা।

 একই বছরে বিভিন্ন ভারতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবর।

বিহার বিধানসভার অধ্যক্ষের পত্নীর মৃত্যু,
আবার ফাঁসলেন রামদেব

 হিন্দি ভাষার জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘সরস সলিল’-এর জুন ২০০৬ সংখ্যায় একটি খবর প্রচণ্ড হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছে।

 খবরে বলা হয়েছে, রামদেব মার্চ ২০০৬-এ তাঁর পাটনায় শিবির বসান। শিবিরে বিহার বিধানসভার অধ্যক্ষ উদয় নারায়ণ চৌধুরীর ক্যানসার রোগে আক্রান্ত পত্নীর চিকিৎসা শুরু করেন। কিছু ‘জড়িবুটি’-র সঙ্গে প্রাণায়াম এবং মন্ত্র ছিল রামদেবের ‘অব্যর্থ’ চিকিৎসার অঙ্গ।

 ২৫ মার্চ ২০০৬ পাটনা-শিবির শেষ হয়। তার দশ দিন পর (অর্থাৎ ৪ এপ্রিল ২০০৬) অধ্যক্ষ-পত্নী ভরোনিকা চৌধুরীর মৃত্যু হয়।

 এই ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল গ্যারাণ্টি দিয়ে ১০ হাজার ক্যানসার রোগী সারিয়ে তোলার রামদেবের দাবি কী বিশাল ভণ্ডামী।

 ৭ জানুয়ারি ২০০৬ বাবা রামদেবকে জিজ্ঞেস করেছিলাম (‘NDTV’ ইণ্ডিয়া’র মুকাবিলা অনুষ্ঠানে), আপনি ‘যোগ সাধনা’ বইতে লিখেছেন ‘প্রাণ মুদ্রা’য় যে কোনও চোখের রোগ সারে। আপনার বাঁ চোখ পিট্‌পিট্‌ করা রোগটা সারাচ্ছেন না কেন? আমার প্রশ্নের উত্তরে গালাগাল দিয়েছেন। রামদেব জানালেন, ‘খেচরী মুদ্রা’ জানেন। যোগের আকর-গ্রন্থ ‘হঠযোগ প্রদীপিকা’ তুলে ধরে বললাম, এতে