পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুই দিন nSGt যাত্রা আরম্ভ হয়ে গেল। বিস্ফারিত চোখে কাতু এক দৃষ্টি চেয়ে দেখলে পঞ্চ নল জাকজমকের সঙ্গে সলমা চুমকির কাজ করা জরির পোষাক পরে সভাস্থল আলো করে বসেচে । কি তাদের হাত পা নাড়ার কায়দা, কি তাদের ও রবারি আস্ফালন ! ইন্দ্রের সঙ্গে বিরুণের কথা কাটাকাটির কি বাহার ! আর গান ? এমন সুন্দর সুরের গান এ পর্য্যন্ত সে শোনেনি পাডাগায়ে । দৃশ্যের পর দৃশ্য বদলে চলেচে। প্রত্যেক দৃশ্যে অভিনব ঘটনার সমাবেশ, নতুন নতুন সুরের গান, নতুন নতুন সুন্দর মুখ। পরীর মত মেঘেরা। মেয়ে নয়, ওরা পুরুষ, কাতু জানে না যে এমন নয, কিন্তু দু একটি মেয়ে সম্বন্ধে কাতু ঠিক বুঝতে পাবলে না। ওরা ছেলে, না। সত্যিই মেযে। সে বাবাকে বল্লে-বাবা, ও বাবাদুর্গাচরণ বলেন-কি ? কেন কথা বলচো ? চুপ করে থাকে। -VSKI CINC3 I GC ? -চুপ করে বসে থাকে। বকো না। কাতু তন্ময় হয়ে গিয়েচে, তার বাহাজ্ঞান নেই। একটা দৃশ্যে তার মন নোচে উঠলো। এবার বোধহয় যুদ্ধের আয়োজন চলবে। কলিরাজ যে সেজেছে তার কি বিকট চেহারা আর সাজসজ্জা । সত্যিই লোকটা খারাপ নাকি ? নিশ্চয় লোকটা খুব বদমায়েস। বুড়ো কথু কী কি হাসিয়েই গেল। এইবার একটা করুণ দৃশ্যের অবতারণায় সভার লোক কেঁদে ভাসিয়ে দিল, সেই সঙ্গে কাতুও। রাজ্যহারা নল বনে দিশাহারা অবস্থায় একটা বৃক্ষতলে আশ্রয় নিয়োচেন ( বৃক্ষতলে আশ্রয় নেওয়ার ব্যাপারটা অবিশ্যি নলের বক্তৃতার মধ্যে দিয়েই প্রমাণ পেয়েচে, কেননা তিনি বসে আছেন। আসরের ঝাড় লণ্ঠনের তলায়), সঙ্গে রয়োচেন নিরাভরণা দময়ন্তী । প্রোগ্রামে আছে অলক্ষ্যে বিধিলিপির সঙ্গীত-নলের