পাতা:অহল্যাবাঈ - মণিলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO 0 অহল্যাঘাঈ মালিরাও।-এই তুকাজীর আচরণ দেখে তার ওপর আমার ভয়ঙ্কর সন্দেহ হয়েছে নন্দজি । নন্দজী -এতো হবারই কথা মহারাজ । তার আস্পৰ্দ্ধার কথা হাজারবার আমি আপনাকে বলেছি । রাজ্যের প্রজারা মহারাজের চেয়েও তাকে বেশী সম্মান করে। মহারাজকে যারা ঘৃণা করে, তুকাজীকে তারা পূজা করে। একি সামান্য আম্পদ্ধার কথা মহারাজ ! মালিরাও —শুধু তাই নয় ; আমার বিরুদ্ধে অনেক কথা সে আমার মা’কে পর্য্যন্ত বলেছে। সেই সেদিনকার আমোদের কথা মনে আছে ? নন্দজী -তা আর মনে নেই মহারাজ ! কি চমৎকার আমোদ সে । সে ঘড়ার ভেতর কেউটে সাপ ঢুকিয়ে রেখেছিলুম। । তারপর ভিক্ষুক বামুনদের ডেকে এনে বলা গেলো।—মহারাজ আজ দাতাকর্ণ হয়েছেন, তোমাদের দেবার জন্য ঘড়া-বোঝাই মোহর রেখেছেন, ঘাড়ার ঢাকনি খুলে যত ইচ্ছা মোহর বার ক’রে নাও।--লোভী বেটার লোভে পড়ে যেমন ঘড়ার ঢাকনি খুলেছে-আমনি ফোস -উ:-কি সে মজা ! হেসে আর বঁচি না মহারাজ ! তার পর পাদুকার ভেতর বিছু পুষে রাখা হয়েছিল, যেমন বেটার তার ভেতর পা গলিয়েছেঅমনি কটাং-কটাসি-কামড়ের চোটে তাদের কি ছটফটানি ! অমন মজা অনেকদিন পাওয়া যায় নি মহারাজ ! মালিরাও -এখন হয়েছে কি জান ? তুকাজী সেই সমস্ত নিগৃহীত ব্রাহ্মণদের, মার কাছে নিয়ে গিয়েছিল, মা তাদের মুখে সমস্ত ঘটনা শুনে, একবারে নাকি আমার ওপর আগুন হয়ে উঠেছেন। নন্দজী - তাহলে ঘরের অন্ন আর কিছু অধিক পরিমাণে ভোজন করেই নিশ্চিন্ত হয়েছেন বলুন ?