পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দয়া ও সদ্বিবেচনা।
২০

হইযাছে, যাহাতে, ইহার পরিবাবের ভরণপোষণ সম্পন্ন হইতে পারে, এরূপ উপায় কবিয়া দিলে, ইহাকে দুশ্চরিত্র হইতে হয় না। অতএব, তাহার এবটা ব্যবস্থা করা আবশ্যক।

 এই স্থিব করিযা, তিনি, অবিলম্বে, তদীয় আলয়ে উপস্থিত হইলেন। তাঁহাকে দেখিবামাত্র সে বিষন্ন বদনে, তাঁহার চরণে নিপতিত হইল, এবং অপূর্ণ লোচনে, কাতর বচনে, ক্ষমাপ্রার্থনা করিতে লাগিল। তদীয় ঈদৃশ ভাব দর্শনে, শেনষ্টোনের অন্ত করণে অতিশয় দয়া উপস্থিত হইল। তখন তিনি, তাহাকে ভূতল হইতে উঠাইয়া, অশেষ প্রকারে, তাহার সান্ত্বনা করিলেন, অশ্বাসপ্রদান পূর্ব্বক, তাহাকে সমভিব্যাহারে লইয়া, আপন আলয়ে উপস্থিত হইলেন, এবং যাহাতে সে অনায়াসে পবিবারের ভরণপোষণ সম্পন্ন করিতে পারে, এরূপ এক কর্মে নিযুক্ত করিযা দিলেন। তদবধি, আর কখনও, সে, দস্যুবৃত্তি বা অন্যবিধ কোনও দুষ্কর্মে প্রবৃত্ত হয় নাই।