পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অমায়িকতা ও উদারচিত্ততা।
২৯

দ্বারা, ঐ ব্যক্তিকে বলিয়া পাঠাইলেন, আজ অমুক সময়ে আপনি সস্ত্রীক, আমার আবাসে আসিবেন।

 সেনাপতি কি জন্য আহবান করিলেন, তাহা বুঝিতে না পারিয়া, তিনি অতিশয় ভয় পাইলেন। তাঁহার আদেশ লঙ্ঘিত হওয়া উচিত নহে, এই বিবেচনায, তিনি সস্ত্রীক, তদীয় আলয়ে উপস্থিত হইলে, সেনাপতির সম্মুখে নীত হইলেন। সেনাপতি, তাঁহাদের দিকে দৃষ্টিসঞ্চারণ করিয়া, বুঝিতে পারিলেন, তাঁহারা অতিশয় ভয় পাইযাছেন। তখন তিনি সাদর সম্ভাষণ পূর্ব্বক অভযদান করিয়া বলিলেন, আমি, কোনও দুষ্ট অভিপ্রাযে, আপনাদের আহ্বান করি নাই। আমি কোনও প্রকারে অত্যাচার বা অসদ্ব্যবহার করিব, আপনারা ক্ষণকালের জন্যও, সে আশঙ্কা করিবেন না, আপনাদের সহিত বিশিষ্টরূপ আলাপ করা আমার একমাত্র উদ্দেশ্য। অদ্য আমি আপনাদিগকে আহার করাইব। আপনারা, নির্ভয় ও নিরুদ্বেগ হইযা, উপবেশন করুন। এই বলিয়া, তিনি তাঁহাদিগকে আপন সমীপে উপবেশিত করিলেন, এবং নিয়তিশয় সদয়ভাবে, তাঁহাদের সহিত নানা বিষযে, কথোপকথন করিতে লাগিলেন।

 আহারের সময় উপস্থিত হইল। সেনাপতি তাঁহাদিগকে আপনার নিকট বসাইলেন; সাতিশয় যত্ন ও