পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
আখ্যানমঞ্জরী।

প্রকার দর্শনে, তাহা বুঝিতে পারিলেন; কিন্তু তৎকালে কিছু না বলিয়া, মৌনাবলম্বন করিয়া রহিলেন।

 তিনি আমার জন্য যে সমস্ত উদ্যোগ করিয়া রাখিয়াছিলেন, প্রস্থান দিবসে তাহা দেখিয়া, আমি বিস্ময়াপন্ন হইলাম। একটি উৎকৃষ্ট অশ্ব সুসজ্জিত হইয়া আছে, আর একটী অশ্বের পৃষ্ঠে খাদ্যসামগ্রী প্রভৃতি স্থাপিত হইযাছে, অর, পথে আমার পরিচর্যা করিবার নিমিত্ত, একটি ভৃত্য প্রস্থানার্থে প্রস্তুত হইয়া রহিয়াছে। প্রস্থানসময় উপস্থিত হইলে, সেই দয়াময়, সদাশয় অশ্রয়দাতা, আমর হস্তে একটি স্বর্ণমুদ্রার থলি দিলেন, এবং আমাকে যাত্রীদের নিকটে লইয়া গেলেন, তন্মধ্যে যাহাদের সহিত তাঁহার আত্মীয়তা ছিল, তাঁহাদের সঙ্গে আমার আলাপ করিযা দিলেন। আমি আপনকার বসতিস্থানে এই সমস্ত উপকার প্রাপ্ত হইযাছিলাম, এজন্য পৃথিবীতে যত স্থান আছে, ঐ স্থান আমার সর্ব্বাপেক্ষা প্রিয়।

 এই নির্দ্দেশ করিয়া, দুঃখপ্রকাশ পূর্ব্বক আমি বলিলাম, আক্ষেপের বিষয় এই, আমি এ পর্য্যন্ত সেই দয়াময় আশ্রয়দাতার কখনও কোন উদ্দেশ পাইলাম না। যদি তাঁহার নিকট কোনও অংশে কৃতজ্ঞতাপ্রদর্শনের অবসর পাই, তাহা হইলে, মৃত্যুকালে আমার কোনও ক্ষোভ থাকে না। এই কথা শুনিবামাত্র, তিনি অতিশয়