তার মাখের কথা শেষ করতে না দিয়ে জলধি বলে উঠলে, যাচ্ছিলাম এপথ দিয়ে। ভাবলাম, একবারটি উকি দিয়ে যাই, এই আর কি। তা তোমাদের বাক্যালাপে একটি ব্যাঘাত ঘটােলম, তাই না ? * মণি চোখে-মখে আকস্মিক গাম্ভীর্ষের ছাপ একে বললে—এতই যদি ভেবেছেন জলধিবাব, তবে আর মিছিমিছি তার মাখের কথা কেড়ে নিয়ে জলধি মাখে কৃত্রিম হাসি ফুটিয়ে বললে, সত্যি মণি তুমি এক্কেবারেই ছেলে মানষে রয়ে গেছ দেখছি! হেয়ালিও বােব নারসিকতারও কোন gr. Creag aCity Crê) i ব্লমেন দরজায় জলধির উপস্থিতি বাবতে পেরেই একটা মাসিক পত্রিকা মাখের সামনে মেলে ধরে তার কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছে । সে-ত ভালই জানে লোকটা শয়তানের শিরমণি । ভেজাবেড়াল। ভাঁজা মাছটা পর্যন্ত উলেট খেতে জানে না। } ঐসব লোকের সংস্রব যত এড়িয়ে চলা যায় ততই মঙ্গল । সব চেয়ে বড় কথা রীতিমত বাক্যবাগিশ। কথার মারপ্যাঁচ খাবই জানে। মািখ ফসকে কখন কোন কথা বেরিয়ে যাবে এবেবারে পরমাদ ঘটিয়ে ছাড়বে । তার চেয়ে বরং নিলিপ্ত থাকা অনেক ভাল । বোবার শত্র নেই। জলধি নীরব চাহনি মেলে একবার ঘরের সবঃ চোখ বলিয়ে নিয়ে বললে, মণি তোমার ঘরটিকে কিন্তু ভারী সন্দির করে সাজিয়েছি! যাকে বলে একেবারে ছিমছাম । সবকিছুর মধ্যেই রঢ়িবোধের পরিচয় পাওয়া যায়। বাঃ চমৎকার সাজিয়েছা! মণি নীরবে ছোট্ট করে হাসল। জলধি বলল, দামী আসবাবপত্র কিছু নেই, জেলিসের প্রাচুর্য নেই-সরুচির পরিচয় বহন করছে। মণি বুঝতে পারছে জলধি তার রুচিবোধের প্রশংসা করতে অসময়ে একটা পথ ভূগো; আসে নি। নিশ্চয়ই এমন কিছু একটা বলতে এসেছে যা তার পক্ষে সহজে প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। সচতুর লোকেরা যা করে, আশপাশ দিয়ে কিছুক্ষণ ঘরপাক খেয়ে পরিচিতিটা সম্পবন্ধে কিছটা আঁচ নিয়ে তবেই মািল প্রসঙ্গ উত্থাপন করে। মণি মািল প্রসঙ্গে খোঁজ বরাবার চেষ্টা করল, জলধিবাব, আপনি হয়ত জানেন না, কয়েকদিনের মধ্যে এ ঘর আমি ছেড়ে দিচিছ । অতএব এর প্রশংসা করে সময় নািস্ট করা কি নিরর্থক নয়, আপনার অমল্য সময়ের অপচয়ও ত জলধি যেন অকস্মাৎ হাতে সবগ পেয়ে গেল। যে প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে সে এতক্ষণ ইতস্তত করছিল মণি তাকে যে-সহযোগ হাতের মাঠোয় এনে দিয়েছে। “লান হেসে মণির দিকে কথাটা ছড়ে দিলে, মণি একটা কথা বলনে জলধিবাব, কি কথা ? এত ইতস্ততের কি আছে ব্যবছি না ত! A SBDBD DB BDB BDu uBS DBD BuB BD uBDDD BDB BDBDB DuuDuu uDD কঞ্জ কোনরকমে উচ্চারণ করলে-মণি তোমার চাকরিটা কিন্তু আমি খাইনি। R
পাতা:আগামীকাল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৪
অবয়ব