পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র পড়েন। আরও একটা মন্ত আকর্ষণ তঁার সামনে ছিলসেটি প্রসিদ্ধ বক্তা কেশবচন্দ্র সেনের তেজস্বিনী বক্তৃতা শোনবার প্রবল ইচছা । সে ইচ্ছার গতি তিনি রোধ করতে পারেন নি, তিনি কেশব সেনের বক্তৃতাবিন্যায় যেন ভেসে গেলেন-অবশেষে ব্রাহ্মসমাজের সভ্যরূপে যোগ দিলেন। যৌবনে তাই তঁার একটা নেশা ছিল-সভাসমিতিতে কেশবচন্দ্র সেন আর সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শোনা । সুরেন্দ্রনাথের জ্বালাময়ী বক্তৃতা শোনবার জন্যেই তিনি মেট্রোপলিটন কলেজে ( এখনকার বিদ্যাসাগর কলেজ, সে সময় সুরেন্দ্রনাথ সেই কলেজে অধ্যাপক ছিলেন) ভর্ত্তি হলেন-অবশ্য সেই সঙ্গে তিনি প্রেসিডেন্সী কলেজে বিজ্ঞানের বক্তৃতায়ও যোগ দিতে খাকলেন । প্রফুল্লচন্দ্রের ভাগ্যে অটুট স্বাস্থ্য কখনও ঘটে নি, অনেক সময় শরীরের অসুস্থতার জন্য তঁার পাঠের ব্যাঘাত জন্মেছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও তিনি কখন জ্ঞানসংগ্রহে বিরত হন নি। অসুখের সময় তিনি যে শুধু ডাক্তারের ঔষধ-ভাণ্ডার শেষ করতেন তা নয়, পিতার সাহিত্য-ভাণ্ডারও নিঃশেষ করতেন। স্কুলের পড়া ছাড়া, তিনি বাইরেকার প্রকৃতির বিশালরাজ্য থেকে জ্ঞান লাভ Sir