৯৮ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী তবে ওকালতির দুর্ভোগ ভুগিতে হয় না। অনেক সময় প্রশ্ন হয় যে, কোথায় শিক্ষানবীশি করা যাইবে ? গ্রামে গ্রামে গিয়া দেখিলে দেখিতে পাওয়া যায় অনেক সাহা প্রভৃতি ব্যবসায়ী শ্রেণীর লোক ব্যবসা করিয়া কৃতী হইতেছেন। ইহাদের নিকট গিয়া বিনা মাহিনায় নিজ হাতে কাজ শিখিতে গেলে অবশ্য ইহার আপত্তি করিবেন না । শুনিয়া থাকি, মাড়োয়ারীরা নাকি বাঙালীদের ব্যবসাতে লইতে আপত্তি করেন । কিন্তু অনেক বাঙালী দেশে গ্রামে আছেন র্যাহারা চাউল, ডাল, কেরোসিন ইত্যাদির ফ্যবসা করিয়া অধোপার্জন করিতেছেন। ইহাদের নিকট যাইয়া চাকরের মত খাটিতে হইবে । তুচ্ছ আত্মসম্মানের মিথ্যা মোহে শিক্ষাকে বিড়ম্বিত করিলে চলিবে না। . wratą grąžitg ffosząF fini School of Commerce ইত্যাদিতে ভর্ত্তি হইতে ব্যস্ত হইয়া উঠিয়াছেন। ব্লাকৃবোর্ডে ও খড়িমাটির সাহায্যে ব্যবসা শিক্ষা হয় না । তুলে, পাট কোথায় জন্মে, Commercial History s Geography off at of gots nicottà s ভাটিয়াদের তাহ জানিতে ও ব্যবসা চালাইতে কোন কষ্ট হয় না । ইংরেজীতে হিসাব রাখা কিম্বা নিভূল পত্রলিখন-পদ্ধতি জানা কৃতকার্ষ্য হইবার পক্ষে একান্ত প্রয়োজন নয়। ** ছেলে পরীক্ষায় কৃতকার্য্য না হইলে তাহাকে বৃথা চোখ রাঙাইবার কোন প্রয়োজন নাই। এখনো তার কোন “মিথ্যা আত্মসন্মান বোধ” ( false sense of dignity ) zij নাই, তাহাকে কোন ছোট দোকান করিয়া দিন । কিম্বা কোন দোকানে বেচাকেন শিখিতে দিন । “বাইরে ক্টোচার পত্তন ভিতরে ছুচোর কীর্ত্তন” করিয়া কি হইবে ?, যাহা হউক, দেশের হাওয়া ফিরিয়াছে—ইহা খুব শুভলক্ষণ সন্দেহ -- - -- --বনসংগ্রামের মহা-আবর্তে ধীর ভাবে অকুতোভয় হইয়।
