পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতিভেদ b8ఫి যে সমাজের চিন্তা ও কর্ম্মশক্তি পুষ্ট হয় নিম্নস্তরের লোকের দ্বারা । জনসাধারণের মধ্য হইতেই যথার্থ শিক্ষিত ও গুণসম্পন্ন লোক উদ্ভূত হ’য়ে দেশের ভাব ও কর্ম্মের ধারাকে নানা অবদান পরম্পরায় বিচিত্র ক’রে তোলে। এই ধারাকে অক্ষুন্ন রাখবার জন্যে সমাজের উচ্চস্তরের মুষ্টিমেয় লোকের সামর্থ্য যথেষ্ট নয়। সমাজদেহের শারীরিক মুনসিক ও নৈতিক-সকল প্রকার পুষ্টর উপাদান জনসাধারণের মধ্যে যেরূপ প্রচুর পরিমাণে বর্ত্তমান আছে, উচ্চস্তরের অল্পসংখ্যক লোকের মধ্যে সেরূপ থাকা কখনও সম্ভব নয় । সুতরাং দোহাই দিয়ে সেই বিপুল জনসঙ্ঘকে পদদলিত করে আমরা জাতিগঠনে যে কৃত বাধার স্বষ্টি করেছি তা বর্ণনা অপেক্ষ কল্পনারই অধিগম্য। বর্তমানে আমাদের শাসন-সংস্কারের দাবীকে ইংরেন্ধু মুষ্টিমেয় শিক্ষিত লোকের চীৎকার ব’ল উড়িয়ে দিচ্ছে । কিন্তু জনসাধারণ যখন একবার এই দাবী করবে তখন কেউ তাবে আটকাতে পারে কি ? পৃথিবী জুড়ে জনসাধারণের যুগ এসেছে। আমাদেরও এই যুগকে আনন্দ ও উৎসাহের সহিত বরণ ক’রে নিতে হবে। আপনার দেশভাইকে অস্পৃশু ব’লে আর দূরে রাখলে চলবে না। এখন আমুরা সভ্যজগতে সকল জাতির সঙ্গে এক আসরে বসতে চাই ; পৃথিবীর effossi (League of Nations) of colo চাই। কিন্তু অন্তে আমাদের কি চক্ষে দেখে আজ তা তোমাদের ভেবে দেখতে হবে , বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, জগদীশচন্দ্র আমেরিক প্রভৃতি সভ্যদেশে ভারতবর্ষের যোগ্য প্রতিনিধি ব’লে পরিচয় দিয়ে এসেছেন । কিন্তু সে আরম্ভ মাত্র—কোকিলের প্রথম গান বসন্তের আগমনবার্তা ঘোষণা করে মাত্র। দারিদ্র্য ও সামাজিক অত্যাচার প্রভৃতি নানা দোষের জন্য আজও আমরা অল্প জাতির অশ্রদ্ধার পাত্র হ’য়ে আছি । আমাদের