পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০০ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী সাহিত্যিক, রাষ্ট্রনৈতিক, পুরাতত্ত্ব প্রভৃতিতে মানবের জ্ঞানভাণ্ডার নিয়ত পরিপুষ্ট করছে। এই ইউরোপের সব দেশে স্বাধীন চিন্তার স্রোত নিয়ত মানবের জীবনকে কত উচ্চতর স্তরে নিয়ে যাচ্ছে, ধে তার আর শেষ নেই। কত শত বিভিন্ন ব্যাপার নিয়ে কত শত প্রচেষ্টা, কত অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠান, কত একনিষ্ঠ জ্ঞানসাধকের ঐকান্তিক চেষ্টা ঐ-সব দেশে বিদ্যার্থীগণের তথা জনসাধারণের চিত্তবৃত্তিকে সদ জাগ্রত করে রেখে দিয়েছে। ৩০ ০০ বৎসর পূর্ব্বে মিশর, আলীরিয়া, বাবিলন প্রভৃতি দেশে লোকে কিরূপ জীবনযাপন করেছিল সেই-সকল প্রত্নতত্বের বিচারের ফলে যুরোপীয় স্থধীবৃন্দ জ্ঞান-রাজ্যের এক একট। নূতন দিক উন্মুক্ত করে দিয়েছেন যার নাম হয়েছে—ইজিপ্টলজি আসিরিওলজি ইত্যাদি। লেয়ার্ড, রলিনসন, পেত্রি ( Layard, Rawlinson, Petrie ) প্রভৃতি এই-সকল বিদ্যার হোতা । তারপর প্রাচ্যের প্রাস্তে এসে দেখা যাক । জাপানে তোকিও, কোবে, কিয়োতে, প্রভৃতি বিখ্যাত নগরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সৌষ্ঠবে ও জ্ঞানানুশীলনে সর্ব্বাংশে য়ুরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরূপ হয়ে দাড়িয়েছে । সেবার বিলাতগামী জাহাজে আমার সঙ্গে প্রায় দুই শত ভারতবাসী ছাত্র ইউরোপে চলেছিলেন । এদের মধ্যে দুই এক জন ছাড়া সবাই কেমন করে ফাকি দিয়ে একটি বিলাত সস্ত ডিগ্রি এনে দেশী, ডিগ্রির উপর টেক্কা দিবেন সমস্ত সময় সেই চিন্তা ও পরামর্শ করছিলেন । আমাদের দেশের যে-সব ছাত্র ম্যাটিক-বা আই-এ, আই-এসসি প্রভৃতি পাশ করে বিলাত চলে যান, দেখতে পাওয়া যায় জ্ঞানান্বেষণ তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য নয় । তাদের চিন্তা, কি করে’ শীঘ্র একটা বিলাতী ডিগ্রী নিয়ে এসে দেশবাসীর চোখে ধাধা লাগিয়ে দেবেন। জাপানী ছাত্র আপন