খালি, কিন্তু আমার জন্য একটি কেবিনও খালি ছিল না। আমি কালআদমী! কালো লোকের থাকবার জন্য বিশেষ কেবিন রয়েছে―সে কথাটি আমার জানা না থাকায় আমায় অনেকক্ষণ চারিদিকে টহল দিতে হয়েছিল। আমার মুখ দেখেই কেবিনের ম্যানেজারগণ আমাকে এস্থান হতে অন্যস্থানে পাঠাতে লাগল। স্পষ্টভাবে কেউ বলল না অথবা কেউ বলতে সাহস করল না,―এই কেবিনগুলি শুধু সাদা লোকের জন্য। শেষটায় যখন নিগ্রোদের কেবিনের কাছে আসলাম তখন একজন ম্যানেজার হেসে বললেন, “Now you have come to the right place, have a cabin।” এতক্ষণে উপযুক্ত স্থানে এসেছেন, এখন একটা কেবিন পেতে পারেন। আমি কেবিনের ভাড়া চুকিয়ে দিয়ে যখন রেজিষ্টারে আমার নাম বিশুদ্ধ বংগ ভাষায় লিখতে লাগলাম, তখন ম্যানেজারের চমক ভাংল। ম্যানেজার বলল, “আপনি ইংলিশ লিখতে জানেন না?” আমি বললাম, আমি শুধু নিজের ভাষায় লিখতে এবং পড়তে জানি―ইংরেজী শুধু বলতে পারি।” ম্যানেজার তখন আমার দেশ কোথায়, আমার কি জাত এবং আমার দেশের নানা সংবাদ নেবার পর কেবিনটা পরিষ্কার করবার জন্য এক জন লোক পাঠাল। নিগ্রোরা প্রায়ই কেবিন নোংরা করে রেখে যায় বলেই পরিষ্কারের ব্যবস্থা হয়েছিল। ম্যানেজারগণও নিগ্রোদের কেবিন পরিষ্কার রাখার জন্য কোনরূপ চেষ্টা করে না, কারণ এরা বুঝে না কেবিনে অপরিষ্কার রেখে গেলে পরবর্তী আগন্তুক কষ্ট পায়। কেবিনে সাইকেলটা রেখে, আফিসে গিয়ে ফের নিউইয়র্ক-এ টেলিফোন করে আমার অবস্থানের কথা জানালাম তারপর পুনরায় কেবিনে এসে রান্নার বন্দোবস্ত করলাম। ম্যানেজার মহাশয় দু চারজন আশেপাশের লোককে আমারই কেবিনে ডেকে গল্প জুড়ে দিলেন। কথা হচ্ছিল আমাদেরই দেশ
পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১৪৫
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৪
আজকের আমেরিকা