পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজকের আমেরিকা
১৭১

সেজন্য কোনও রসিদ দেওয়া হয় না। যে সকল দোকানদার “ডও” দেয় না তাদের শাস্তি দেওয়া হয়। আমরা আজ আমাদের এলাকায় ডও আদায় করতে বের হয়েছি। প্রত্যেক দোকানদারই কিছু কিছু করে আজ দেবে। চাঁদার সাহায্যে অনেকগুলি বেকার খেয়ে বাঁচবে। আমি একটু হেসে বললাম “অহো সেকথা, আমাদের দেশেও তার প্রচলন আছে”। মিথ্যা বলতে আমার একটুও ঠেকল না, কারণ এরূপ মিথ্যার আশ্রয় না নিলে প্রথমত নিজের দেশের বদনাম হয়, দ্বিতীয়ত বিপদেও পতিত হতে হয়। উভয় সংকট হতে একটি মিথ্যা কথায় উদ্ধার পেয়ে ফের দোকানে এসে বস্‌লাম। লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলাম “আপনি সত্যিই কি একজন জু?” লোকটি বলল “না মহাশয় আমার বাবা একজন কোয়েকার, তিনি আমার কাজ পছন্দ করেন না বলেই আমি তাঁকে জু বলেছি। আপনি হলে কি বলতেন?” “আমি বল্‌লাম কাপুরুষ কারণ জুদের আমরা ঘৃণা করি না।” লোক দুটি আর কোন কথা না বলে দোকানদার হতে দুটি ডলার আদায় করল এবং বিদায় নিয়ে অন্য দোকানের দিকে রওয়ানা হ’ল। তাদের সংগেও মোটরকার ছিল। দোকান হতে বের হয়ে তারা মোটরে না বসে পায়ে হেঁটে চলতে লাগল। তাদের নির্ভিক ভাবে কাজ করতে দেখে আমি আশ্চর্য হয়েছিলাম।

 দরিদ্র, দীন মজুর, দরিদ্রনারায়ণদের আরও একটি কাজ চলে। কতকগুলি সংবাদপত্র তাদের সেই সৎসাহসকে বাধ্য হয়ে সাহায্য করে। কাজটি অতি সোজা। শহরের প্রত্যেক এলাকায় এক একটি কেন্দ্র আছে। কেন্দ্রগুলি প্রায়ই গ্রোসারী দোকানে হয়। দোকানদার জিনিস বিক্রয় করার সময় কখন কখন বেশ হাসে। যখনই হাসে তখনই তার হাতে জুয়াখেলার টিকিটের চাঁদা এসেছে বুঝতে হবে।