বন্ধ কয়ে দেওয়া হয়। আমেরিকায় এখনও হিন্দুরা বসবাস করবার অধিকার পায় নি; এমন অবস্থায় তাদের মনের আসল ভাব গোপন করাই কর্তব্য। দে মহাশয়ের মনের ভাব কি তা আমি জানতাম না, আমাকে দিয়ে কাজ উদ্ধার করিয়েছেন বলে মনে হল। পর্যটকদের এমন ভাবে অনেকে ব্যবহারে লাগায় তা আমি আগেও জানতাম তাই চুপ করে থাকতে বাধ্য হয়েছিলাম।
ভারতীয় পর্যটক বিদেশে ভারতের সম্বন্ধে সত্যপ্রচারের নানারকম বাধা বিঘ্ন পায়। এই সব বাধা বিঘ্ন দূর করবার আশায় বিট্ঠল ভাই পেটেল অনেক চেষ্টা করেছিলেন। তিনি ডিট্রয় নগরীতে অনেক দিন ছিলেন। তাঁর দুঃখের কথা তিনি অনেক সময় বলতেন। অনেক অশিক্ষিত হিন্দুরাও সে করুণ কাহিনী শুনে অনেক অপকর্ম ছেড়ে দিয়েছিল। বৃদ্ধের চারিপাশে শতাধিক লোক সকল সময় বসে থাকত। তিনি মুসলমানদের মোল্লা ছিলেন না পীরও ছিলেন না, তবু তারা তাঁকে সর্বদা ঘিরে বসে থাকত তারা ভারতের অশিক্ষিত মুসলমান। শওকত আলি জানতেন, সাগর পারের মুসলমানরা পেটেলকে কত ভক্তি-শ্রদ্ধা করত, কত আদর-অভ্যর্থনা করত। যাঁরা দুঃখকষ্ট সয়ে ভারতের গরীবদের সংগে মিশেছেন তাঁরাই জানেন, ওরা কত উদার। আমি যখন ডিট্রয় পৌঁছই, বিট্ঠল ভাই পেটেলের কথা তখন প্রত্যেক লোকের কাছে শুনতে পেতাম। বিট্ঠল ভাই পেটেল যখন আমেরিকায় ছিলেন, তখন তিনি অনেক বেকার হিন্দুকে সাহায্য করেছিলেন। তারা হয়তো আর ভারতে ফিরে আসবে না, এলেই হয়তো দুঃখে কষ্টে তাদের জীবন কাটাতে হবে। আমেরিকাতে তাদের কাজ করবার অধিকার নাই সেইজন্যই তারা কষ্ট পাচ্ছে। কাজ করবার অধিকার নাই শুনে অনেকে হয়তো ভাববেন তাদের কেরানীগিরির অধিকার