মেডিরা
মেডিরা দ্বীপ আমাদের পথে আসবে তাই এখন থেকে সকল যাত্রীই মেডিরার কথা বলতে শুরু করেছে। দুঃখের বিষয় আমাদের জাহাজ সেণ্ট হেলেনা হয়ে আসেনি। সেজন্যই মেডিরা দেখবে বলে সকলের প্রাণে এত আনন্দ। আমার মনে হল মেডিরা বোধহয় তার ঠিক উচ্চারণ নয়, মদিরা হবে এবং মেডিরায় পৌঁছে বুঝতে পেরেছিলাম আমার অনুমান সত্য। জাহাজী সংবাদে একদিন বের হয়েছিল, জেনারেল ফ্রাংকো মেডিরা দ্বীপে সকল জাহাজের যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছেন। তাতে যে হের হিটলারের ইংগিত আছে, কিংবা মুসোলিনীর কোনও চালবাজী আছে, তা নিয়ে আলোচনা সর্বত্রই চলছিল। পরে ঐ জাহাজী সংবাদেই প্রকাশিত হয় চেম্বারলেন কি একটা অঘটন ঘটিয়েছেন যাতে করে সকল তর্কের অবসান হয়ে গেছে। নতুনকে সম্বর্ধনা করার আনন্দের চিন্তাধারা পুনরায় সকলের মাঝেই জেগে উঠল।
আমাদের জাহাজ মেডিরা গিয়ে ভিড়বে এই সংবাদ পাওয়া মাত্র সকলেই খেলার দিকে ঝুঁকে পড়ল। আমার ভারতীয় সংগীকে বললাম, “ভায়া, এই বেলা হাতের মুঠা খুলে রেখ, দেখা যাক এরা আমাদের কাছে আসে কিনা।” উত্তরে তিনি বললেন, “ওরা টাকা নিবে কিন্তু খেলতে দিবে না।” আমি বললাম, “তার ভার আমার উপর রইল, আমি ওদের বেশ ভাল করে দেখে নিব।” আমার অনুমান ঠিক হয়েছিল। চাঁদার খাতা হাতে করে এক মিশনারী আমাদের কাছে এসেছিল। আমি চাঁদার খাতা হাতে নিয়ে বললাম, “আফ্রিকায় বাইবেল হাতে নিয়ে নিগ্রোদের যেমন ঠকাচ্ছেন, আমাদের কিন্তু সে রকম