বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



৩৪
আজকের আমেরিকা

হলিউড থেকে নূতন ধরনের ছায়াচিত্র ভারতে চালান দেওয়া হয়। হলিউডে ঐ ছবি বিনামূল্যেও কেউ দেখে না। দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন ও প্রসিদ্ধ নট তাতে সাহায্য করে না। ব্রিটেনেও এসব ছায়াচিত্রের স্থান নাই। সময়ের পরিবর্তনের সংগে মজুরদের মনোবৃত্তির পরিবর্তন হচ্ছে। ব্রিটেনের মজুর এখন ভাবে, কাজ করার অধিকার তার আছে, কাজ পাবে না কেন? কে তার অন্তরায়? সাথী নেটিভ আমাকে এ সম্বন্ধে অনেক কথা বলল। আমি মন দিয়ে তা শুনলাম। তারপর মন্তব্য করতে বাধ্য হলাম। আমি তাকে বললাম, “মজুর-জগতে যেরূপ পরিবর্তন দেখা দিয়েছে, আমার মনেও ঠিক সেইরূপ পরিবর্তনের অংকুর অনেক দিন পূর্বে গজিয়ে ছিল; এখন পত্রপুষ্পে শোভিত হয়েছে। পূর্বে আমি ভাবতাম, জীব আপন কর্মফলে কষ্ট পায়, এখন দেখছি, তা সত্য নয়। এখন দেখছি, কতকগুলি বিশেষ লোকের কথায় নরসমাজ অন্ধ হয়ে তাদের উপদেশ মত চলে। আত্মবিস্মৃত হয়ে যারা অপরের চিন্তাধারাকে গ্রহণ করে, তারা নিজেদের সর্বনাশ ত করেই, উপরন্তু তারা নিজের সমাজকেও অপরের পদানত করে।” গভীর রাত্রে আমরা হাইড পার্ক পরিত্যাগ করে ইস্টলণ্ডনের এলগেটের কাছে একটি সেলভেশন আর্মির বাড়িতে শোবার ব্যবস্থা করলাম।

 সকালে উঠেই নেটিভ সাথীটি আমাকে সেলভেসন আর্মির বাড়ি দেখাতে লাগল। বাড়িটা তিনতলা। সকলের নীচের তলায় রেস্তোরাঁ, বসবার স্থান এবং সর্বহারাদের সামান্য কাপড় চোপড় রাখবার জন্য ‘সেল’ রয়েছে। অনেক সর্বহারা চা খেতে বসেছে। তাদের শরীরের দুর্গন্ধ উল্লেখযোগ্য। সেই সর্বহারাদের এমন পয়সা নাই যে দু’পেনি খরচ করে সপ্তাহে একবার স্নান করতে পারে। মোজাতে ঘাম লেগে যে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয় তার কথা বলতে আমি অক্ষম। এই সর্বহারাদের মোজা