পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১০
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী

 আগুনের আলোকে দেখিলাম—শত্রু গ্রামের দিকে অগ্রসর হইতেছে। আমাদের মেসিন গান্ তাহাদের উত্তপ্ত আমন্ত্রণ জানাইল।

 শত্রুর অগ্রগতি ব্যাহত হইয়াছে। তাহাদের দিক হইতে কামানের—শব্দ নীরব হইয়া গেল। থাপা বলিল উহার পলায়ন করিল। উভয়পক্ষেই হতাহত হয় নাই।

৫ই এপ্রিল ১৯৪৪:

 আমাদের অগ্রগামী দল কোহিমার কাছে পৌঁছিয়াছে। কোহিমার কাছে যুদ্ধ চলিতেছে।

 আমি ও লালতুই কোহিমার দিকে চলিয়াছি অগ্রগামী সেনাদলের সহিত যোগদানের জন্য।

 বরাক নদী পার হইলাম। বরাকের আর এক নাম—সুরমা। লাল্‌তুই বলিল—এই নদী নাগা পাহাড় হইতে বাহির হইয়া ব্রহ্মপুত্র নদের সহিত মিশিয়াছে। দূরে মণিপুরের সর্ব্বোচ্চ শৃঙ্গ যাপ্‌ডো (৯৮৯০ ফিট্) নীল আকাশে মাথা তুলিয়া যেন ধ্যান করিতেছে।

 পথে পড়িল মাও নামে একটি গ্রাম। এই জায়গাটীও পাহাড়ের উপর। মাও পাহাড় প্রায় ছয় হাজার ফিট উচ্চে।

 ঝাকামা ও কোহিমার মধ্যে পথে নাগা পুরুষ ও নারী দেখিলাম। নাগাদের আকৃতি মঙ্গোলীয়; গায়ের রঙ্ ফর্সা; কলোও দেখা গেল। নাগা মেয়েদের মাথার চুলে বৈচিত্র্য দেখিলাম। লালতুই বলিল— কুমারী মেয়েরা মাথার চুল কপালের দিকে ছোট করিয়া ছাঁটে; বিবাহের পর মাথায় লম্বা চুল রাখে।

৬ই এপ্রিল ১৯৪৪: কোহিমার সম্মুখে:

 আজ এরোপ্লেনে পর্য্যবেক্ষণ করা হইল। দূরে অভ্রভেদী পাহাড়ের