অবসর। ভারতের নিজস্ব কোন বাহিনী নাই; ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য সেনাবাহিনী গঠনের একটা বড় সুযোেগ আমরা পাইতেছি। আমাদের উচিত এই জাতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করা।’
আমি জিজ্ঞাসা করিলাম—‘সভায় লোক কত ছিল?’
‘প্রায় ৪০।৫০ হাজার হইবে।’
‘এত?’
‘হাঁ, ভারতীয় সেনাদল তো ছিলই, তাহা ছাড়া সিঙ্গাপুরের অনেক বেসামরিক ভারতীয় অধিবাসীও আসিয়াছিলেন।’
‘ইহার পর আপনারা কি করিলেন?’
‘আমাদের মধ্যে অধিকাংশই ‘আই-এন্-এ’ তে যোগদান করিলাম।’
‘আপনাদের কি যোগ দিতে বাধ্য করা হইয়াছিল?’
‘না—কাহাকেও বাধ্য করা হয় নাই। আমরা বুঝিয়াছিলাম যে সকলের অপেক্ষা দেশই বড় এবং আমাদের অনুগত্য দেশের কাছেই— অন্য কাহারও নিকট নয়।’
‘আপনাদের তো জাপানীরা ছাড়িয়া দিল। আপনাদের কি করিয়া চলিত?’
‘আমাদের কয়েকটি ক্যাম্পে রাখা হইয়াছিল। ইহাদের মধ্যে ক্রান্জি ক্যাম্প্, সেলেতার ক্যাম্প ও বিদাদারি ক্যাম্প্ প্রধান। কাপ্তেন মোহন সিং আমাদের সব ব্যবস্থা করেন।
মার্চ মাসের ২৮শে হইতে ৩০শে পর্য্যন্ত টোকিওতে প্রবাসী ভারতবাসীদের এক সভা হয়। রাসবিহারী বসু সভাপতি হন। এই সভায় ইণ্ডিয়ান্ ইণ্ডিপেণ্ডেন্স্ লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। কাপ্তেন মোহন সিং আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন কার্য্য আরম্ভ করেন। হাতের কাছেই ছিল বন্দী