পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী

আমাদের আর একশত বৎসরের মধ্যে আসিবে না। এই সুযোগের আমরা পূর্ণ সদ্ব্যবহার করিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

 ‘বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের ফলে ভারতবর্ষের নৈতিক অবনতি, সংস্কৃতির বিনাশ, অর্থনৈতিক দারিদ্র্য এবং রাজনৈতিক দাসত্ব মাত্র লাভ হইয়াছে।

 আমাদের স্বাধীনতা আমাদের নিজেদের অর্জন করিতে হইবে। আমাদের চেষ্টা ও স্বার্থত্যাগের ফলে আমরা যে স্বাধীনতা লাভ করিব আমাদের শক্তি বলেই তাহা রক্ষা করিব।

২২শে জুন ১৯৪৩:

 ইণ্ডিয়ান্ ইণ্ডিপেণ্ডেন্স লীগের প্রধান কার্য্যালয় ব্যাঙ্কক্ হইতে সিঙ্গাপুরে আসায় সুবিধা হইয়াছে অনেক।

 সিঙ্গাপুরে জিনিষপত্রের দাম চড়িয়াছে অসম্ভবভাবে। এখানকার ডলার ভারতবর্ষের দেড় টাকার সমান। চাউল কাট্টি হিসাবে বিক্রয় হয়; ১ কাট্টি আমাদের এক পোয়ার কিছু বেশী (১ ১/৩ পাউণ্ড)। চাউলের দাম প্রতি পাউণ্ড আধ ডলার অর্থাৎ প্রায় ৬০ টাকা মণ। শুনিতেছি আরও চড়িবে। অথচ বার্মায় চাউল রহিয়াছে প্রচুর এবং দামও খুব সস্তা। কাপড় প্রায় দুষ্প্রাপ্য। নারিকেলের দেশে একটা নারিকেল কিনিতে লাগে প্রায় এক টাকা! রোগ হইলে ঔষধ পাওয়া যায় না।

 চাউল ও ময়দার পরিবর্ত্তে ট্যাপিওকা ও মিষ্ট আলু চলিতেছে। লোকে বাধ্য হইয়া তাহাই খাইতেছে। মাখনের অভাব—তিল বা