পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
৪৭

অক্ষম। অথচ এই কাজে প্রয়োজন এমন একজন কর্মীর যাহার মনে আছে অনন্ত উৎসাহ ও দেহে অদম্য কর্মক্ষমতা।’

 ‘এমন লোক কোথায়?’

 ‘আছে—সে সুভাষচন্দ্র বসু। আমার বিশ্বাস আছে তাহার উপর; সে-ই পারিবে। গত সম্মেলনে তাহার নাম আমি প্রস্তাব করিয়াছিলাম।’

 এখানে আমি সঙ্কোচের সহিত বলিলাম—

 ‘একটা কথা আপনাকে জিজ্ঞাসা করিব, যদি কিছু মনে না করেন; লোকে বলে—

 রাসবিহারী বসু হাসিয়া বলিলেন—বুঝিয়াছি। রাঘবনের সহিত গোলযোগ হইতে অনেকে ভুল বুঝিয়াছে। জাপানে বাস করিলেও ভুলিও না আমি ভারতবাসী; ভারতের জন্যই আজীবন নির্বাসন যন্ত্রণা ভোগ করিতেছি—যৌবনের সেই ব্যর্থ স্বপ্নকে সত্য করিবার আশায়।’

 ‘লোকে সেভাবে কিছু মনে করে না। সকলেই আপনাকে শ্রদ্ধা করে, কিন্তু ভাবে আপনি জাপানীদের ভয় করিয়া চলেন।’

 ‘না—সেটা ভুল। দেশের মুক্তির জন্য বৃটিশকে ভয় করি নাই— আজ জাপানের বন্দুককেও ভয় করিব না।’

 ‘কিন্তু মোহন সিংএর সহিত জাপানীদের বিরোধের সময় আপনি বাধা দেন নাই।’

 ‘দেখ একটা জিনিষ দেখিতে হইবে; আমাদের না ছিল অর্থবল—না ছিল লোক বল। আমরা যে লড়াই করিব—কিসের জোরে?

 ‘জাপানীদের সাহায্য আমি ঘৃণা করি। কারণ আমি চাহি না প্রভুর পরিবর্ত্তন—বৃটিশের পরিবর্ত্তে জাপানী শাসন। এইজন্যই আমি প্রাচ্যের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত ভারতীয়দের একত্রিত করিয়া তাহাদের অর্থ ও