‘আমি বরাবর অনুভব করিয়াছি যে স্বাধীনতা লাভের জন্য যাহা কিছু প্রয়োজন আমাদের সবই আছে―নাই কেবল একটি জিনিষ—সেটি মুক্তিসেনা।
‘বন্ধুগণ! আজ তোমরাই ভারতের জাতীয় সম্মানের রক্ষক এবং ভারতের আশা আকাঙ্ক্ষার মূর্ত্ত প্রতীক। সুতরাং তোমাদের আচরণ এবং কার্য্যকলাপ যেন এমন হয় যে তোমাদের স্বদেশবাসী তোমাদের আশীর্বাদ করিতে পারে এবং ভবিষ্যৎ বংশীয়েরা তোমাদের নামে গর্ব অনুভব করে।
আমি তোমাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি যে তোমাদের সুখে দুঃখে আনন্দে নিরানন্দে—অভাবে এবং জয়ে সকল অবস্থায়ই আমি তোমাদের মধ্যে থাকিব।
উপস্থিত আমি তোমাদের দিতে পারি কেবল ক্ষুধাতৃষ্ণা, দুঃখকষ্ট পথশ্রম এবং মৃত্যু! আমাদের মধ্যে কে ভারতকে স্বাধীন দেখিবার জন্য বাঁচিয়া থাকিব, তাহা আমরা গ্রাহ্য করি না। আমাদের কাছে শুধু ইহাই যথেষ্ট যে ভারত স্বাধীন হইবে এবং ভারতের স্বাধীনতার জন্য আমাদের যথাসর্বস্ব আমরা দান করিব। ইহা অপেক্ষা বড় কামনা আমাদের আর নাই। ভগবান আমাদের সেনাবাহিনীকে আশীর্বাদ করুন যেন আমরা আগামী যুদ্ধে জয়লাভ করি।
আজাদ হিন্দ্ ফৌজ ভারতের জাতীয় বাহিনী। ইহার নীতি, কার্য্যকলাপ এবং নেতৃত্ব—সমস্তই থাকিবে ভারতবাসীর হাতে। একজনও বিদেশী সৈন্যকে আমরা ভারতে প্রবেশ করিতে দিব না।
‘জাপানীরা ভারতকে স্বাধীন করিয়া দিবে, এরূপ ধারণা আমার নাই। ভারতবর্ষে প্রবেশ করিবে ভারতের জাতীয় বাহিনী; জাপানীদের আমরা