পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
৫৩

 সুভাষচন্দ্রের কলিকাতা হইতে পলায়নের কথায় আমার শিবাজীর পলায়নের কাহিনী মনে পড়িয়া গেল।

৯ই জুলাই ১৯৪৩:

 আজ এক বিরাট জনসভায় নেতাজী সুভাষচন্দ্রের বক্তৃতা শুনিলাম। সভাস্থলে অসংখ্য মহিলা উপস্থিত ছিলেন। নেতাজী বলিলেন, কেন তিনি দেশত্যাগ করিয়াছেন। কেবলমাত্র ভারতবর্ষের মধ্য হইতে স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্ভব নয়, তাই তিনি চাহেন বাহির হইতে সেই আন্দোলনকে সাহায্য করিবার জন্য। বাহিরের সাহায্য লওয়া উচিত কিনা, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলিলেন—‘সর্ব্বশক্তিশালী বৃটেন যদি আমেরিকার ও অন্য সকল শক্তির সাহায্য লইতে পারে আমরা কেন তাহা করিব না? বৃটিশ গভর্ণমেণ্ট যখন আমাকে ধ্বংস করিতে পারে নাই, তখন জাপানীরা বা অন্য কেহও পারিবে না। জটিল পরিস্থিতির প্রয়োজনে আমরা যদি বৈদেশিক সাহায্য গ্রহণ করি তাহা দোষের হইবে না। একটা কথা উঠিতে পারে—মাত্র ৩০ লক্ষ প্রবাসী ভারতবাসী কিরূপে ভারতকে স্বাধীন করিবে? কিন্তু আইরিশরা স্বাধীন হইয়াছিল মাত্র পাঁচ হাজার সশস্ত্র সিন্ ফিন্ স্বেচ্ছাসেবকের সাহায্যে। সুতরাং আমরা ৩০ লক্ষ প্রবাসী ভারতবাসী যদি ইচ্ছা করি স্বাধীনতা অর্জনের আশা আমরা নিশ্চয়ই করিতে পারি।’

 এই সভায় সুভাষচন্দ্র অর্থ ও স্বেচ্ছাসেবকের জন্য আবেদন করিলেন। মহিলা বাহিনী গঠনের কথাও আজ আমরা তাঁহার মুখে শুনিলাম।

১০ই জুলাই ১৯৪৩:

 আজ সংবাদপত্রে সুভাষচন্দ্রের গতকল্যের সম্পূর্ণ বক্তৃতা প্রকাশিত হইয়াছে।