পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
৫৯

না পারা পর্য্যন্ত তাহারা সংগ্রাম চালাইয়া যাইবে। দিল্লী চল, দিল্লী চল, ইহাই তাহারা শ্লোগান্‌রূপে গ্রহণ করিয়াছে। বন্ধুগণ, পূর্ব্ব এশিয়ার ত্রিশলক্ষ প্রবাসী ভারতীয়ের এই চরম যুদ্ধের জন্য চরম সংহতির শ্লোগান হউক—দিল্লী চল। আমি এই চরম সংহতির মধ্য হইতে কমপক্ষে ত্রিশলক্ষ সৈন্য় ও নয় কোটী টাকা পাইতে আশা করি। আমি এতদ্ব্যতীত মৃত্যু-ভয়হীন বাহিনীর জন্য একদল সাহসী মহিলা চাই। একদা ১৮৫৭ সালের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝান্সীর রাণী যে বীরত্বের সহিত তরবারি চলনা করিয়াছিলেন, এই নারী বাহিনীকেও সেইরূপ বীরত্বের পরিচয় দিতে হইবে।

 বন্ধুগণ, আমরা অনেক দিন ধরিয়া ইউরোপের দ্বিতীয় ফ্রণ্টের কথা শুনিতেছি। আমাদের স্বদেশবাসী বর্ত্তমান সময়ে দ্বিতীয় ফ্রণ্ট দাবী করে। আমাকে পূর্ব্ব এশিয়ার সমস্ত সংঘবদ্ধ শক্তি দান করুন। আমি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের দ্বিতীয় ফ্রণ্ট্ সৃষ্টি করিতে চাহি।”

২৫শে আগষ্ট ১৯৪৩

 আজ নেতাজী সুভাষচন্দ্র আজাদ্ হিন্দ্ ফৌজের সর্ব্বময় কর্ত্তৃত্ব গ্রহণ করিলেন। তাঁহাকে সিপা সালার নির্ব্বাচিত করা হইয়াছে।

 সর্ব্বাধিনায়কের পদ গ্রহণ করিয়া তিনি এক ঘোষণা করিয়াছেন। রেডিওতে সেই ঘোষণা শুনিলাম।

 ‘ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বার্থে আজ আমি আমাদের সৈন্যদের প্রত্যক্ষ পরিচালনার ভার গ্রহণ করিলাম। আমার পক্ষে ইহা আনন্দ ও গৌরবের বিষয়। ভারতের মুক্তিসেনার সেনাপতি হইবার অপেক্ষা বড় কোন সম্মান ভারতবাসীর পক্ষে থাকিতে পারে না।