বিতাড়িত করিবার পর স্বাধীন ভারতে স্থায়ী জাতীয় গভর্ণমেণ্ট গঠিত হওয়া পর্য্যন্ত এই অস্থায়ী গভর্ণমেণ্ট দেশের শাসন কার্য্য পরিচালনা করিবেন।
১৭৫৭ সালে বাংলা দেশে ব্রিটিশের নিকট প্রথম পরাজয়ের পর ভারতবর্ষের জনগণ এক শত বৎসর ধরিয়া ব্রিটিশের বিরুদ্ধে বিরামহীন প্রচণ্ড সংগ্রাম চালাইয়া আসিতেছেন। এই এক শত বৎসরের ইতিহাস অতুলনীয় বীরত্ব ও আত্মত্যাগের বহু দৃষ্টান্তে সমুজ্জ্বল হইয়া আছে।
ইতিহাসের পৃষ্ঠায় সিরাজদ্দৌলা, বাঙ্লার মোহনলাল, হায়দার আলী, টীপু সুলতান, দক্ষিণ ভারতের ভেলু তাম্পী, আপ্পা সাহেব ভোঁস্লে, মহারাষ্ট্রের পেশোয়া বাজী রাও, অযোধ্যার বেগম, পাঞ্জাবের সর্দার শ্যাম সিং আত্রিওয়ন্, ঝান্সীর রাণী লক্ষ্মী বাই, আঁতিয়া টোপি, দুমরাওনের মহারাজ কুন্ওয়ার সিং, নানা সাহেব এবং আরও বহু বীরের গৌরবপূর্ণ নাম ইতিহাসের পৃষ্ঠায় স্বর্ণাক্ষরে লিখিত রহিয়াছে।
আপনাদের দুর্ভাগ্য এই যে, আমাদের পূর্বপুরুষগণ প্রথমে বুঝিতে পারেন নাই যে ব্রিটিশ সমগ্র ভারতবর্ষ গ্রাস করিতে উদ্যত হইয়াছে। তাই তাঁহারা সম্মিলিতভাবে শক্রর বিরুদ্ধে কখনো দণ্ডায়মান হন নাই। তারপর শেষে যখন তাঁহারা ব্রিটিশের অভিসন্ধি বুঝিতে পারিলেন তখন তাঁহারা সম্মিলিত হইলেন। ১৮৫৭ সালে বাহাদুর শাহের নেতৃত্বে তাঁহারা স্বাধীন জাতি হিসাবে শেষ সংগ্রাম করিয়াছিলেন। যুদ্ধের প্রথম দিকে কয়েকটি জয়লাভ করাও সত্ত্বেও দুর্ভাগ্য এবং ত্রুটিপূর্ণ নেতৃত্বের ফলে তাঁহাদের পরাজয় এবং দেশের পরাধীনতা উপস্থিত হইল। তথাপি ঝান্সীর রাণী, তাঁতিয়া টোপি, কুন্ওয়ার্ সিং এবং নানা সাহেব জাতির গগনে চিরন্তন নক্ষত্রের ন্যায়