পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
৯৫

১৭ই ফেব্রুয়ারি ১৯৪৪: রেঙ্গুন:

 রেঙ্গুনে ফিরিয়াছি।

 টোকিওতে ফার ইষ্টার্ন্ এশিয়াটিক কন্‌ফারেন্সে জেনারেল তোজোর ঘোষণা অনুসারে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ আজাদ হিন্দ্ গভর্ণমেণ্টের হাতে সমর্পণ করা হইয়াছে। যুদ্ধের জন্য জাপানীদের বঙ্গোপসাগরে এই দ্বীপগুলি একটি প্রধান ঘাঁটি; এজন্য ঠিক হইয়াছে যে যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্য্যন্ত এই দ্বীপগুলির অসামরিক কর্ত্তৃত্ব শুধু আমাদের হাতে দেওয়া হইবে—যুদ্ধের পর জাপানীরা তাহাদের সকল সৈন্য সরাইয়া লইয়া যাইবে।

 কর্ণেল লোকনাথন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের গভর্ণর নিযুক্ত হইয়াছেন। পোর্ট ব্লেয়রে অজাদ হিন্দ্ সঙ্ঘের শাখা আছে।

 আন্দামান দ্বীপের নাম শহীদ দ্বীপ রাখা হইবে, কারণ ভারতের স্বাধীনতার জন্য অনেকে ঐ দ্বীপে নির্বাসন ভোগ করিয়াছেন। নিকোবর দ্বীপেরও নাম পরিবর্তিত করিয়া রাখা হইবে স্বরাজ দ্বীপ।

 শহীদ ও স্বরাজ দ্বীপে স্বাধীন ভারতের পতাকা প্রথম উড্ডীন হইবে!

২৮শে ফেব্রুয়ারি ১৯২৮:

 আজ লেফ্‌টন্যাণ্ট্ বিশ্বম্ভরদাসের নিকট শুনিলাম নেতাজীর প্রাণ নাশের চেষ্টার কাহিনী। বিশ্বম্ভর দাস বাহাদুর দলের নায়ক এবং নেতাজীর বাসভবনের রক্ষীদলের ভার তাঁহার উপর। নেতাজীর বাসভবনে দিনরাত্রি পাহারার ব্যবস্থা আছে। এই রক্ষীদল দুইভাগে বিভক্ত—একদল ইউনিফর্ম্ পরিয়া পাহারা দেয়, আর একদল সাধারণ অসামরিক পোষাকে থাকে। উভয়েরই নিকট রিভলভার প্রভৃতি