পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
৯৭

দাঁড়াইল এবং তাহার মধ্য হইতে একজন লোক নামিয়া আসিল। তাহাকে দেখিতে রাসবিহারী বসুর ন্যায়। সে গাড়ী হইতে নামিয়া নেতাজীর সহিত সাক্ষাৎ করিতে চাহিল। বিশ্বম্ভর নাথ তাহাকে তাহার নাম জিজ্ঞাসা করিলে, সে বলিল—‘রাসবিহারী বসু’। আরও বলিল—‘আমি টোকিও হইতে আসিতেছি—খুব জরুরি দরকার। নির্জনে দেখা করিতে চাই।’

 বিশ্বম্ভরনাথ রাসবিহারী বসুকে কখনো দেখেন নাই, তবে তাহার ছবি দেখিয়াছেন এবং সেই ছবির সহিত এই লোকটির সামঞ্জস্য আছে বলিয়া মনে হইল। তিনি তাহাকে অপেক্ষা করিতে বলিয়া নেতাজীকে তাড়াতাড়ি সংবাদ দিতে গেলেন।

 রক্ষীদের মধ্যে একজন রাসবিহারী বসু যখন সিঙ্গাপুরে আসিয়াছিলেন, সেই সময় প্রায় এক সপ্তাহ কাল তাঁহার বাসায় পাহারা দিয়াছিল। রাসবিহারী বসু আসিয়াছেন শুনিয়া সে তাঁহার সহিত দেখা করিতে আসিতেছিল। তাহাকে দেখিবামাত্র বৃদ্ধ মোটারের মধ্যে উঠিয়া বসিল এবং গাড়ী চলিয়া গেল। রক্ষী বলিয়া উঠিল—‘এতো রাসবিহারী বসু নয়।’

 এদিকে বিশ্বম্ভরনাথের কাছে রাসবিহারী বসু আসিয়াছেন শুনিয়া নেতাজী স্বভাবতই ব্যস্ত হইয়া পড়িলেন। তিনি খুব বিস্মিত হইয়াছিলেন।

 ‘রাসবিহারী বসুতো টোকিওতে আছেন। আজ সন্ধ্যায় রেডিওতে তাঁহার বক্তৃতা শুনিয়াছি; ইহার মধ্যে তিনি কি করিয়া আসিবেন। যাহা হউক লোকটিকে আমি দেখিতে চাই।’

 বিশ্বম্ভরনাথ নীচে আসিয়া দেখিলেন—লোকটি পলায়ন করিয়াছে।