এডভোকেট জেনারেল—কি রকম তফাৎ তাহা এখন দেখিব।
প্রঃ—শিক্ষা বিভাগ সম্পর্কে জাপানীরা সকল বালক বালিকাদিগকেই নিপ্পনীগো স্কুলে পাঠাইবার জন্য বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করিবার জন্য পক্ষপাতী ছিল।
উঃ—ইহা সবটা সত্য নহে। তাহাদের নিপ্পনীগো স্কুলে কিছু ছাত্র ছিল। আমাদের শিক্ষাবিভাগের সহিত তাহাদের কোন সম্পর্ক ছিল না।
প্রঃ—আন্দামানে থাকাকালীন আপনি কি জাপানীদের মারফত ব্যতীত সুভাষচন্দ্র বসুর সহিত কোনরূপ পত্রালাপ করিতে পারিতেন না?
উঃ—আমি প্রধান অধ্যক্ষের নিকট মাসিক রিপোর্ট প্রেরণ করিতাম।
প্রঃ—আমি কি ইহা পুনর্ব্বার জিজ্ঞাসা করিতে পারি?
উঃ—আমি আপনার প্রশ্ন বুঝিতে পারিতেছি না।
এডভোকেট জেনারেল পুনর্ব্বার প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করেন।
তখন সাক্ষী বলেন—পত্রালাপের অন্য কোন সুযোগ সুবিধা না থাকায় বাধ্য হইয়া আমাকে জাপানীদের সাহায্য গ্রহণ করিতে হইত।
প্রঃ—জাপানীরা কি আপনার রিপোর্টগুলি সেন্সার করিত।
উঃ—আমি মোহরাঙ্কিত করিয়া পত্রগুলি জাপানীদের হাতে দিতাম এবং সেইগুলি সর্ব্বাধ্যক্ষ সুভাষচন্দ্রের নিকট প্রেরণ করিতে বলিতাম।
প্রঃ—ইহা সত্য নহে। ইহা কি সত্য যে জাপানীরা আপনার রিপোর্টের কিছু কিছু অংশ পরিবর্ত্তন করিয়া দিত।
প্রঃ—এক সময় জাপানীরা একটি রিপোর্টে আমার নিকট ফেরত পাঠাইয়া এই অনুরোধ জানাইয়াছিল যে আমি যেন ইহার দুই তিনটি অংশ পরিবর্ত্তন করিয়া দেই। কারণ ঐ অংশগুলি শত্রুর হস্তে পড়িলে বিপদের আশঙ্কা রহিয়াছে।
প্রঃ—আপনাকে একটি রেডিও সেট ব্যবহার করিতেও তাহারা অনুমতি দেয় নাই।