পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭২
আজাদ হিন্দ ফৌজ

আইনের জটিল প্রশ্নের আলোচনা সহজ একথা আমি অবশ্যই স্বীকার করি। অপর পক্ষে আমার সান্ত্বনা যে আমি অন্ততঃ এই ব্যাপারে আপনাদিগকে সমস্ত বিষয় বুঝাইয়া দিতে সমর্থ হইব।

 শ্রীযুক্ত দেশাই কয়েকটী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ করিয়া বলেন, “১৯৪১ সালের জাপান, বৃটেন ও আমেরিকার বিরুদ্ধে সংগ্রাম ঘোষণা করে। তারপর কয়েকটি ঘটনা ঘটে সেগুলির উল্লেখ অন্য আদালতের নিকট বিতর্কের বিষয় বলিয়া বিবেচিত হইতে পারে। ১৯৪২ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী বৃটিশ ভারতীয় বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং উক্ত ফেব্রুয়ারী মাসের ১৭ই তারিখে ফ্যারার পার্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। ১৯৪২ সালে প্রথম আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠিত হয় ও ১৯৪২ সালে উহা ভাঙ্গিয়া দেওয়া হয়। অতঃপর শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসু সিঙ্গাপুরে উপস্থিত হইয়া দ্বিতীয় আজাদ-হিন্দ ফৌজের ভার গ্রহণ করেন।

 ভারতের স্বাধীনতা লীগ ও সুদূর প্রাচ্যের রাষ্ট্র সমূহের বহু প্রতিনিধিকে লইয়া বৃহত্তর পূর্ব্ব এসিয়া সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য উক্ত সম্মেলনে এক প্রস্তাব গৃহীত হয়। ১৯৪৩ সালের ২১শে ডিসেম্বর অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করা হয় ও রাষ্ট্রপতি হিসাবে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে বিভিন্ন দপ্তর সহ মন্ত্রীগণ আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেন।

 অতঃপর অদ্য অস্থায়ী সরকার বৃটেন ও আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং নূতন রাষ্ট্রের অধীনে দ্বিতীয় আজাদ হিন্দ ফৌজ কার্য্য সুরু করে। ইহা পরের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হইতেছে আজাদ হিন্দ ফৌজ কর্ত্তৃক ব্রহ্ম অতিক্রম করিয়া ভারতে প্রবেশ ও কোহিমা পর্য্যন্ত অগ্রসর হওয়া।

 সমস্ত ঘটনার বিষয় লক্ষ্য করিলে আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠা ও ঘোষণার বিষয় বস্তুকে স্বীকার করিয়া লইতে হয়। এই ব্যাপার সম্পর্কে কাহারও কোন