পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১৮৩

দান করিয়াছিল, কিন্তু শুধু আমি বলিতে চাই, কোন রাষ্ট্রকে যুদ্ধরত বলিয়া ঘোষণা করিলেই যে ধরিয়া লইতে হইবে, সেই রাষ্ট্রের অধিকারভুক্ত অঞ্চলও আছে, ইহার কোন প্রয়োজন হয় না। গত যুদ্ধের সময় দেখা গিয়াছে, লণ্ডনে এমন অনেক বিদেশী গভর্ণমেণ্টের কেন্দ্র ছিল, যাহাদের কোন অধিকারভুক্ত অঞ্চল ছিল না—যেমন, লণ্ডনে অবস্থিত ফ্রান্স বা বেলজিয়ম সরকার। সাময়িকভাবে তাহাদের কোন অধিকারভুক্ত অঞ্চল না থাকিলেও কিছুই আসে যায় না। ১৫০ শত বৎসর ধরিয়া ভারতবাসীদেরও কোন নিজ অধিকারভুক্ত অঞ্চল নাই, কিন্তু ইতিহাসের এই যুগে ‘আঞ্চলিক’ প্রশ্নের উপর জোর দিবার কোন প্রয়োজন নাই। বিভিন্ন জাতির মধ্যে কার্য্যকলাপের যেখানে প্রশ্ন সেখানে সময়ের প্রশ্ন কিছু আছে বলিয়া আমি মনে করি না। যদি এমন হইত যে সমস্ত বিদেশী গভর্নমেণ্ট সাময়িকভাবে যুদ্ধের সময় লণ্ডনে অবস্থিত ছিল তাহারা তাহাদের অঞ্চলগুলি ফিরিয়া না পাইত, তাহা হইলে কি কোন বৃটিশ আদালতে এই কথা বলা চলিত যে তাহাদের সৈন্য বাহিনী যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করিতেছে তাহাদিগকে তাহা দেওয়া হইবে না। আমরা ভারতবাসী বলিয়াই যেন আমাদের সম্বন্ধে ভিন্ন ব্যবস্থা অবলম্বিত না হয়।

 জেনারেল আইসেনহাওয়ারের একটি ঘোষণার কথা উল্লেখ করিয়া শ্রীযুত দেশাই বলেন, “ফ্রান্সের ম্যাকুইদের সম্বন্ধে জেনারেল আইসেনহাওয়ার বলিয়াছিলেন যে, তাহাদের একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধকাহিনী বলিয়া স্বাকার করিতে হইবে। উত্তরে জর্ম্মানী বলিয়াছিল যে, ফ্রান্সের দেশভক্তগণ আইন অনুযায়ী ফ্রান্সে প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করিয়াছে, কাজেই তাহাদের একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবাহিনী বলিয়া ধরা যাইতে পারে না। শ্রীযুক্ত দেশাই বলেন, “আমার মনে হয় জেনারেল আইসেনহাওয়ারের অভিমতই ঠিক। যদি ম্যাকুইরা নিজ দেশকে স্বাধীন করিবার জন্য যুদ্ধরত বাহিনী বলিয়া পরিগণিত হইয়া সমস্ত