পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৪
আজাদ হিন্দ ফৌজ

এই বিধি ফৌজদারী আদালত সম্পর্কে প্রযুক্ত হয় তাহা হইলে ইহা বলা যায় যে এই সামরিক আদালত আসামীগণকে যুদ্ধ পরিচালনার অভিযোগে অভিযুক্ত করিতে পারেন না। ফৌজদারী আদালত স্থানীয় সরকার বা তদনুরূপ কর্ত্তৃপক্ষ কর্ত্তৃক উপস্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারেন। দ্বিতীয়তঃ ইহা বলা যায় যে আসামীগণের বিরুদ্ধে গুলী করিয়া নরহত্যা সম্পর্কে যে অভিযোগ উপস্থিত করা হইয়াছে যদি তাহা সত্য বলিয়াও ধরিয়া লওয়া যায় তথাপি ইহা বলা যায় যে এই নরহত্যা কার্য্য অনুষ্ঠিত হইয়াছিল।

 যদি আদালত তাঁহার অভিমত গ্রহণ করিতে অস্বীকৃত হন, তাহা হইলে ইহা বলা যায় যে, আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগতভাবে যে অভিযোগ উপস্থাপিত করা হইয়াছে তাহা অবৈধ বলিয়া পরিগণিত হইতে পারে। কারণ এই আদালতে ২৪ ধারা অনুসারে আসামীগণকে একত্রে অভিযুক্ত করা যাইতে পারে না। তাহাদের সম্পর্কে পৃথক পৃথক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে। এতৎসম্পর্কে মিঃ দেশাই প্রিভিকাউন্সিল কর্ত্তৃক প্রদত্ত এক পূর্ব্ব সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন এবং বলেন যে এই আদালত সংযুক্তভাবে আসামীগণকে বিচার করিতে পারিবেন না, কারণ আসামীগণকে একই অপরাধের জন্য সংযুক্তভাবে অভিযুক্ত করা হয় নাই। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় যে মহম্মদ হোসেনের হত্যা সম্পর্কে যে অভিযোগ উপস্থিত করা হইয়াছে তাহার সহিত লেঃ ধীলনের কোন সংশ্রব নাই। আদালত এখন অসামীগণকে পৃথকভাবে অভিযুক্ত করিতে পরিবেন না। কারণ এইরূপ বাবস্থা গ্রহণ করিবার সময় উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে।

 অতঃপর তিনি বলেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ ব্যক্তিগতভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করেন নাই। একটি নিয়মতান্ত্রিক সরকারের আদেশক্রমে আমামীগণ যুদ্ধে যোগদান করিয়াছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ যুদ্ধের নিয়মানুসারে সুযোগ সুবিধা পাইবার অধিকারী বলিয়া পরিগণিত হইবেন। আসামীগণকে