পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২০৩

 স্যার নসীরওয়ান বলেন যে, অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ তাঁহাদের বিবৃতি প্রসঙ্গে ইহা বলিয়াছেন যে, মালয়ে ও অন্যান্য স্থানে জাপানীগণ যেরূপ অত্যাচার করে যাহাতে ভারতে তদনুরূপ অত্যাচার ও লুণ্ঠনকার্য্য সংগঠিত না হয় তজ্জন্য তাঁহারা আজাদ-হিন্দ-ফৌজে যোগদান করিয়াছিলেন। আসামীগণের বক্তব্য হইতে ইহা প্রমাণিত হয় যে, আসামিগণ ভারত অভিযান সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে জাপানীদের সহায়তা প্রদান করিয়াছিলেন। বস্তুতঃ তাঁহারা জাপ-কর্ত্তৃপক্ষকে ইহাই বলিয়াছিলেন যে, তাঁহাদের যেন সৈন্যদলের পুরোভাগে অধিষ্ঠিত করা হয়। এই প্রসঙ্গে ইহাও বলা যায় যে, যখন জাপসৈন্য মণিপুর ও কোহিমা হইতে হটিয়া যাইতে থাকে তখনও আসামীগণ বর্ম্মায় যুদ্ধে লিপ্ত ছিল এবং জাপানীগণের ভারত অভিযান পরিচালনা সম্পর্কে আসামীগণ উদ্বেগ প্রকাশ করিয়াছিল। ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ এবং ক্যাপ্টেন সেহগলের ডায়েরী হইতে ইহা বুঝা যায় যে, তাঁহারা জাপানীদের ভারত অভিযান সম্পর্কে সাহায্য দান করিয়াছিলেন।

 স্যার নসিরওয়ান দ্বৈত আনুগত্যের প্রশ্নের উল্লেখ করিয়া বলেন যে, বস্তুতঃ বৃটিশ সরকার জাপানীগণের হস্ত হইতে ভারতকে রক্ষা করিয়াছেন। এমতাবস্থায় বৃটেনের সামরিক দুর্য্যোগ সম্পর্কে বর্ত্তমানে কোন প্রশ্ন উঠিতে পারে না।

 স্যার নসিরওয়ান আরও বলেন যে, সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অর্থ হইতেছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচরণ করা রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করার অর্থ হইতেছে রাজানুগত্য অস্বীকার করা এবং রাজার বিরুদ্ধাচরণ করা।

 র নসিরওয়ান বলেন যে, আজাদ-হিন্দ সরকার সম্পর্কে অথবা সেই সরকার হইতে প্রাপ্ত ক্ষমতা সম্পর্কে যাহাই বলা হউক না কেন তথাপি ইহা বলা যায় যে আসামীগণ রাজার বিরুদ্ধাচরণ করিয়াছিলেন এবং শত্রুদলে যোগদান করিয়াছিলেন। আসামীগণ সম্পর্কে বর্ত্তমানে ইহা বলা যাইতেছে যে, আসামীগণ যুদ্ধবন্দী ছিল, সেই জন্য তাঁহাদের ক্ষেত্রে সৈন্যদল পরিত্যাগের