পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩০
আজাদ হিন্দ ফৌজ

দাখিল করিয়া বলেন, দেশপ্রেম অপরাধ হইলে আমি অপরাধী। এজন্য আমি জীবন বিসর্জ্জন দিতেও প্রস্তুত। হয়ত বৃটিশ সরকার আমার মনোভাবকে অপরাধ বলিয়া গণ্য করিবে, কিন্তু আমি আমার দেশবাসীর বিচারের উপর নির্ভর করিব। যদি ন্যায়পরায়ণতা বলিয়া কোন কিছু থাকে তাহা হইলে আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ আনা হইয়াছে তাহা হইলে আমাকে মুক্তি দেওয়া হইবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, সাক্ষ্য প্রমাণাদি সহ নিরপেক্ষভাবে বিচার করিলে আমি নির্দ্দোষ প্রমাণিত হইব।

 অতঃপর সামরিক আদালতের বিচারে জমাদার জামান খান নির্দ্দোষ প্রতিপন্ন হন। পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে তিনটি অভিযোগ হইতে আদালত তাহাকে মুক্তি দেন। বাকী দুইটি অভিযোগ সম্পর্কে বলা হয় যে, আসামীর ব্যবহারকে নৃসংশ বলা চলে না, সুতরাং আইনতঃ তাহার মুক্তি পাওয়া উচিত।

সুবেদার ঝাণ্ডুরামের বিচার

 গত ১৩ই মার্চ্চ বুধবার অষ্টম সামরিক আদালতে সুবেদার ঝাণ্ডুরামের বিচার আরম্ভ হয়।

 মিঃ আর, কে, এফ, বাহাদুরজী এবং মিঃ সর্দ্দার বাহাদুর—আসামী পক্ষ সমর্থন করেন। আসামী নিজেকে নির্দ্দোষ বলেন।

 আসামীর বিরুদ্ধে তিন প্রকার অভিযোগ আনীত হয়। আসামী হাবিলদার গোলাম কাদিরকে আটক করিয়া রাখিবার এবং প্রহার করিবার জন্য বালিক পাপানে জাপানীদিগকে প্ররোচিত করিয়াছিলেন।