পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২৩

 যাঁহারা বিচারালয়ের সহিত সোজাসুজি সংশ্লিষ্ট তাঁহারা ব্যতীত, ‘প্রেস পাশ’ প্রাপ্ত সাংবাদিকগণ এবং সমর বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত ‘স্পেশাল পাশ’ প্রাপ্ত জনসাধারণ আদালত ভবনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

 কোর্টের বিচারকগণ, আসামী, কৌসুলী ও সাক্ষিগণের আসন ব্যতীত আরও ২ শত আসনের ব্যবস্থা করা হয়। উহার মধ্যে ৬০টি আসন সাংবাদিকগণের জন্য এবং অল্প কয়েকটি মাত্র সামরিক বিচারের সহিত ঘনিষ্ঠভাবে সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মচারীদের জন্য স্বতন্ত্র ছিল।

 সাংবাদিকগণের জন্য বিশেষভাবে নির্দিষ্ট ‘প্রেস রুমে’ টেলিফোন এবং টেলিগ্রাফ অফিসের ‘প্রেস কাউণ্টার’ স্থাপিত হয়।

 আদালতের প্রেসিডেণ্ট ও অন্যান্য সদস্য শপথ গ্রহণের পর আসামী মেজর জেনারেল শাহ্ নওয়াজ, কর্ণেল পি কে সেহ্‌গল ও কর্ণেল গুরুরক্স সিং ধীলনকে কোর্টে হাজির করা হয়। আসামীগণ সারিবদ্ধ হইয়া স্থিরভাবে কোর্টের সম্মুখে দণ্ডায়মান হন। তাঁহারা ইউনিফর্ম পরিহিত ছিলেন। কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনীতে তাঁহারা যে পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, সেই পদের বৈশিষ্ট্যজ্ঞাপক সমস্ত নিদর্শন ইউনিফরম হইতে খুলিয়া লওয়া হইয়াছিল।

 সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, নরহত্যা এবং তাহাতে সহায়তা করা— আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত এই সকল অভিযোগ আদালতে আসামীদের নিকট পঠিত হয়। আসামীগণ প্রত্যেকটি অভিযোগ সম্পর্কে নিজেদিগকে নির্দোষ বলিয়া ঘোষণা করেন।

বিচারক, আসামী ও উভয়পক্ষের ব্যবহারজীবিগণ

 আজাদ হিন্দ ফৌজের অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সমর্থনের জন্য কংগ্রেস কর্ত্তৃক যে পক্ষসমর্থনকারী কমিটি নিযুক্ত হইয়াছে তাহা পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, স্যার তেজবাহাদুর সপ্রু, লাহোর হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কুনোয়ার স্যার