পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৭৩

 সাক্ষী—মোহন সিংহের গ্রেপ্তারই একমাত্র কারণ।

 ইহার পর শ্রীযুক্ত ভুলাভাই দেশাইএর জেরা শেষ হয়।

জমাদার আলতাফ রেজ্জাকের সাক্ষ্য

 ২৩শে নভেম্বর আজাদ হিন্দ ফৌজের বীর সেনানীত্রয়ের বিচারকালে সরকারী সাক্ষী জমাদার আলতাফ রেজ্জাকের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। জমাদার আলতাফ রেজ্জাক তাঁহার বিবৃতিতে স্বীকার করেন যে, আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দেওয়া না দেওয়া ব্যক্তিগত ইচ্ছার উপর নির্ভর করিত। তিনি আরও বলেন যে, শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসু এক বক্তৃতায় একথাও বলিয়াছিলেন যে, আজাদ হিন্দ ফৌজের যে সকল সৈন্য রণাঙ্গনে যাইতে সাহসী হইবে না, তাহারা ইচ্ছা করিলে পিছনে থাকিয়া যাইতে পারিবে।

 এ্যাডভোকেট জেনারেলের প্রশ্নের উত্তরে জমাদার আলতাফ রেজ্জাক বলেন যে, সিঙ্গাপুরে তিনি বন্দী হন এবং বিভিন্ন শিবিরে প্রেরিত হন। তিনি এক বৎসরকাল পোর্ট ডিক্সন শিবিরে ছিলেন। ১৯৪৩ সালের জানুয়ারী অথবা ফেব্রুয়ারীতে ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ পোর্ট ডিক্সনে আগমন করেন এবং সাক্ষীসহ সমস্ত ভারতীয় বন্দী অফিসারদের উদ্দেশ্যে এক বক্তৃতা করেন। ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ আজাদ হিন্দ ফৌজের লেফটেন্যাণ্ট কর্ণেলের ব্যাজ ধারণ করিয়াছিলেন। তাঁহাদের নিকট তিনি বলেন যে, ক্যাপ্টেন মোহন সিংএর গঠিত আজাদ হিন্দ ফৌজ ভাঙ্গিয়া দেওয়া হইয়াছে এবং অপর একটি বাহিনী গঠন করা হইয়াছে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যিনি যোগ দিতে স্বেচ্ছায় ইচ্ছুক তিনি তাঁহার শিবিরের কম্যাণ্ডাণ্টের মারফৎ সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ ফৌজের সদর ঘাঁটিতে নাম প্রেরণ করিতে পারেন।

 শিবিরের অবস্থার উল্লেখ করিয়া সাক্ষী বলেন, ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ খান জানান যে, শিবিরের বাসিন্দাগণ ম্যালেরিয়ায় ভুগিতেছে এবং তাহাদিগকে