পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৭৫

মেণ্টে তিনটি ব্যাটেলিয়ন এবং প্রত্যেক ব্যাটেলিয়নে অনুমান ৬৫০ সৈন্য ছিল। তাহাদের রাইফেল এবং ৩ ইঞ্চি ব্যাসের মর্টার ছিল।

 সাক্ষী বলেন যে, তিনি যে রেজিমেণ্টে ছিলেন উহা পোপায় যাওয়ার পূর্ব্বে সুভাষচন্দ্র বসু উহা পরিদর্শন করেন। সুভাষ বাবু তখন বলিয়াছিলেন, গত বৎসর কেহ কেহ জাতীয় বাহিনী ত্যাগ করিয়া গিয়াছেন। এবার যেন তাহা না হয়। যিনি সম্মুখ সংগ্রামে যাইতে নিজেকে যোগ্য মনে না করিবেন, তিনি থাকিয়া যাইতে পারেন। ১৯৪৫ সালের জানুয়ারী মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ঐ রেজিমেণ্ট মিঙ্গালাডন হইতে পোপায় যায়। সাক্ষী অপর চারিজনের সহিত ২রা ফেব্রুয়ারী সেখানে পৌঁছেন। ক্যাপ্টেন সেহগল ১৫ই ফেব্রুয়ারী পোপায় পৌঁছেন এবং ক্যাপ্টেন ধীলন পূর্ব্বদিন সেখানে পৌঁছিয়াছেন কিনা সাক্ষীকে জিজ্ঞাসা করেন। নেহরু রেজিমেণ্ট [চতুর্থ গেরিলা রেজিমেণ্ট] এবং ৩০০ সৈন্য ছোট ছোট দলে বিভক্ত হইয়া পোপায় পৌঁছে। ক্যাপ্টেন ধীলন এই রেজিমেণ্টের অধিনায়ক। এই রেজিমেণ্টের সৈন্যদের অবস্থা অত্যন্ত কাহিল ছিল; কাহারও বিছানা নাই, কাহারও বা রাইফেল নাই।

দলত্যাগীদের সম্বন্ধে ব্যবস্থা

 ১৯৪৫ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারী লেফটেনাণ্ট কর্ণেল সেহগল সাক্ষী যে রেজিমেণ্টে ছিলেন সেই রেজিমেণ্টের সেনানীদের এবং রেজিমেণ্টের সদর ঘাঁটী কার্য্যালয়ের ষ্টাফ অফিসারদের এক বৈঠক আহ্বান করিয়া বলেন যে, চতুর্থ গেরিলা রেজিমেণ্টের এরূপ অবস্থা দেখিয়া তিনি লজ্জা বোধ করেন। তাঁহার রেজিমেণ্টের এরূপ অবস্থা হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। তিনি আরও বলেন যে, দল ছাড়িয়া যাইবে বলিয়া যাহাকে সন্দেহ করা হইবে, তাহাকে রেজিমেণ্টের সদর ঘাঁটিতে পাঠাইয়া দেওয়া হইবে। ১৯৪৫ সালের মার্চ মাসে লেঃ কর্ণেল সেহগল আর একটি বৈঠক ডাকেন। ২নং ডিভিসনের সকল অফিসারই