পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নে শা দুই বন্ধু কথা বলে ধীরেসুস্থে, খবর নেয়। আর দেয় ছাড়া ছাড়া ভাবে এতগুলি বছর ধরে অজস্ৰ কথা জমেছে কিন্তু বলার বা শোনার তাড়া যেন তাদের নেই। যতীন বলে, “আয়, বসে কথাবার্ত্তা কই ।” কোথায় বসবি ? ‘আয় না। কাছেই।” খানিক এগিয়ে বঁায়ে গলির মধ্যে একটা দেশী মদের দোকানে যতীন তাকে নিয়ে যায়। শনিবারের বিকাল, ইতিমধ্যেই লোক জমে জায়গাটা গমগম করছে।-ছেড়া কাপড় পরা খালিগায়ের লোক থেকে ফরসা জামাকাপড়পরা পর্য্যন্ত সব ধরণের বাঙ্গালী ও অবাঙ্গালী লোক। দোকান ঘরের বেঞ্চিগুলি সব ভর্ত্তি, দাড়িয়ে এবং উবু হয়ে বসেও অনেকে মদ খাচ্ছে। পাশের ঘরে একটা বেঞ্চে জায়গা ছিল, পুলকেশকে বসিয়ে যতীন বলে, বৈাস, একটা পাট আনি। একটু সেলিব্রেট করা যাক ৷” “আমি তো ওসব খাই না ।” “একদিন একটু খাবি, তাতে কী হয়েছে ? এ্যাদ্দিন পরে দেখা, একটু ফুর্ত্তি না করলে হয় ?” এখানে ঢুকেই যতীনকে আগের চেয়ে বেশী তাজা, বেশী উৎসাহী মনে হচ্ছে। সেলিব্রেট করার একটা ভাল উপলক্ষ পেয়ে সে যে ভারি খুশী হয়েছে বেশ বোঝা যায়, বেশী মদ খাওয়ার জন্য নিজের মনটা আর তাকে কামড়াবে না । পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়ায় সে যুক্তি পেয়েছে, কৈফিয়ৎ পেয়েছে, সমর্থন পেয়েছে বেশী মদ খাবার। ዓdS