পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থেকে খাচ্ছে-‘চড়াই পাখী চাউল খাকী আয়না ঠোকরাণী” এই আদুরে ভাষায় চড়াইকে ডাকছেন । কত কাঠবেড়ালী তার গায়ের উপর দিয়ে নির্ভয়ে চলে যাচ্ছে। DDD KBB Duy SKLSSSSS S BBDB SDD D BD BB DDD SuS rBBB Y DE চড়বেই। কিন্তু কাককে প্রশ্রয় দিলে অন্য পাখীদের উপর জুলুম করা হয়। একদিন তিনি বিরক্ত হয়ে একটা দাড় কাককে মেরে তাড়িয়ে দিতে বলেছিলেন। পরদিন দেখেন সে কাক যথাসময়ে তীব্র মজলিসে হাজির নেই । এই দেখে হুলস্থূল বেধে গেল । সে কোথায় খোঁজ খোেজ। খুজতে নানা দিকে চর পাঠান হ’ল, তারা দ্যাখে সে কাক কোন একটা দূরের গাছে বসে আছে—তাকে আনিয়ে বড়দাদা। তবে স্বস্থির । বডদাদার যা নিত্য নিয়মিত প্রাতঃসুনা ঠাণ্ডা জলে --- তা চিরকালই সমান চলছে।-শীতে গ্রীষ্মে রোগে অরোগে তার আর বিরাম নাই। তার জ্বর কি কোন অসুখ হ’লে সেই স্নান বন্ধ করবার জন্যে কত সাধ্য সাধনা অনুনয় বিনয় করা যায় কিন্তু ভোরে উঠেই সেই ঠাণ্ডা জলে স্নান কিছুতেই নিবারণ করা যায় না। ঠাণ্ডার বদলে গরম জল কোন কালেই তার মনোনীত হয় না। বড়দাদাকে ব্যামোর সময় ঔষধ পথ্য সেবন করানো এক বিষম দ{য় । আঁঠার লেখায় মগ্ন হয়ে তিনি অনেক সময় আহার নিদ্রার নিয়ম ভুলে যান---এই বয়সে তঁর শরীরে আর এ অত্যাচার সহ্য হয় না ( এখন শরীর সেবায় বিশেষরূপে মনোযোগ দেবার সময় এসে পড়েছে। তিনি নিজেই তা বুঝতে পেরেছেন ;-এক একবার বলেও থাকেন—আর না ! কিন্তু কাজে এ কথার কোন পরিচয় পাওয়া যাস না । গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর ( মেজদাদা ) ও-বাড়ীর মেজদাদার সঙ্গে আমার খুব ভাব ছিল। তখন এ-বাড়ী ও-বাড়ীর ,কান প্রভেদ ছিল না, আমরা তাকে আমাদের সহোদর ভাইয়ের মতই দেখতুম। নিনি ছিলেন মেজদাদা, আমি সেজদাদা বা সেজবাবু, আর বড়দাদা, এই তিন জনে সব্বদাই আমরা একত্রে থাকতুম, একসঙ্গে খেলা করতুম-আমরা এই trinity তিনে এক একে তিন । মেজদাদা আমাকে বড় ভালবাসতেন, আমিও তার প্রতি অত্যন্ত অনুরক্ত ছিলুম। আমরা দুটিতে তেতলার ছাতে বসে গান করুতুম, গল্প করাতুম, কোজাগর পূর্ণিমায় হেসে খেলে বাগানে বেড়িয়ে রাত কাটাতুম। মেজদাদা গান বাজনা বড় ভালবাসতেন-তিনি নিজেও অনেক সঙ্গীত রচনা করেছেন-ব্রহ্মসঙ্গীত, জাতীয় সঙ্গীত, ইত্যাদি । “দীননাথ প্রেমমুগ্ধা দেহ হৃদে ঢালিয়ে” এ তঁর গান। V2