পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ । SEN সহবাসে আমি ও প্রসন্নময়ী এই সময়ে বিশেষ উপকৃত হইলাম। তদবধি প্রকাশচন্দ্রের সহিত এরূপ গাঢ় বন্ধুতা জন্মিয়ছিল, যে, তাহা YBD DBDBBDBDDS DDD DDD DDD S B BBBDB BBDBDBBD Bt অঘোরকামিনী কিছুদিন হরিনাভিতে গিয়া আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তাহাকে দেখিয়াও উপকৃত হইলাম । এই হরিনাভি-বাসকালের আর-একটা ঘটনা উল্লেখযোগ্য। এই সময়ে লক্ষ্মীমণি আমার আশ্রয়ে আসে। লক্ষ্মীমণি ঢাকা সহরের একটি বেশ্যার কন্যা। তাহার মাতা তাহাকে বাল্যকালে একটী বালিকাবিদ্যালয়ে পড়িতে দিয়াছিল। লক্ষ্মীমণি ঐ স্কুলে একজন খ্রীষ্টীয়ান শিক্ষয়িত্রী ও এক ব্রাহ্ম শিক্ষকের সংশ্রবে। আসে। ইহঁদের সংশ্রবে: আসিয়া তাহার মাতা যে জীবন যাপন করিতেছিল, ” তাহার প্রতি তাহার। ঘূণা জন্মে। লক্ষ্মীর বয়ঃক্রম যখন ১৩১৪ হইল, তখন তাহার মাতা তাহাকে নিজ বৃত্তিতে প্রবৃত্ত করিবার চেষ্টা করিতে লাগিল। তাহার জননী প্রথমে প্ররোচনা অনুরোধ প্রভৃতি করিয়া অকৃতকার্য্য হইয়া অবশেষে বলপ্রয়োগ করিতে প্রবৃত্ত হইল। একদিন বেচারিকে একটা পুরুষের সঙ্গে একঘরে সমস্ত দিন বন্ধ করিয়া রাখিল । আঁচড়, কামড়, হাত পা ছোড়ার দ্বারা যতদূর হয়, লক্ষ্মী সমুদয় করিয়া সমস্ত দিন আত্মরক্ষা করিল। সন্ধ্যার সময় একবার দ্বার খোলা পাইয়া লক্ষ্মী সরিয়া পড়িল এবং একেবারে সেই ব্রাহ্ম শিক্ষকের নিকট গিয়া উপস্থিত হইল। তিনি তাহাকে লইয়া একটী ব্রাহ্ম পরিবারে রাখিলেন। লক্ষ্মীর মাতা দুষ্ট লোকের প্ররোচনায় কন্যালাভের জন্য আদালতে নালিশ উপস্থিত করিল। সৌভাগ্যক্রমে একজন ইংরাজ বিচারকের নিকট এই মোকদ্দমা উপস্থিত হইয়াছিল। তিনি সমুদয় বিবরণ জ্ঞাত হইয়া, লক্ষ্মীকে মাতার হাত হইতে লইয়াসেই ব্রাহ্ম অভিভাবকের হন্তে অৰ্পণ করিলেন।