পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

de of V9 ডালে সজোরে ঢ়িল লাগাতে তাহারা দিশাহারা হইয়া পড়িয়া যাইত; আমি অমনি তাহাদিগকে ধরিতাম । DD BDBu DD DBDDDBDD DBDB D gDBD DuD চূড়ালে টিল মারিতে পারিতাম। বলা বাহুল্য যে অনেক সময় ডালে চিল না লাগিয়া পাখীর মাথায় লাগিতা এবং পাখীটার প্রাণ যাইত। এইরূপে আমার হন্তে অনেক পাখীর প্রাণ গিয়াছে। বলিতে কি, পুকুরে ব্যাঙটী ভাসিতেছে বা গাছে পাখীটী বসিয়া আছে দেখিলেই আমার ঢ়িল মারিবার প্রবৃত্তি প্রবল হইয়া উঠিত। শুনিলে হয়তো অনেকে হাসিবেন, এই বৃদ্ধ বয়সেও সময় সময় বৃক্ষশাখায় পাখীট আছে দেখিয়া আমার ঢ়িল মারিতে ইচ্ছা করে, অমনি হাসিয়া সে ইচ্ছা! निबांद्रवं कब्रि। আমার ঢ়িল ছোড়া বিষয়ে দুইটী ঘটনা স্মরণ আছে। একবার আমার পিতার সহিত কোথায় যাইতেছিলাম। তখন আমার বয়স ১৩১৪ হইবে। পিতা অগ্রে, আমি পশ্চাতে। আমি পশ্চাৎ হইতে দেখিতে পাইলাম, আমার পিতার সম্মুখস্থিত একটি বৃক্ষের শাখাতে একটি শালিক পাখী অন্যমনস্ক ভাবে বসিয়া আছে। আর সে প্রলোভন অতিক্রম করিতে পারিলাম না। যে পিতাকে যমের মত ভয় করিতাম, তিনি সঙ্গে, সে কথাও মনে থাকিল না। ভো করিয়া আমার ঢ়িলাটী ছুটিল। পাখীটির কোথায় যে লাগিল তাহা বুঝিতে পারিলাম না, কিন্তু পাখীটী পাকা ফলটীর মত বাবার সম্মুখে পড়িয়া গেল। বাবা বুঝিতে পারেন নাই যে, আমি পশ্চাৎ হইতে ঢ়িল ছুড়িয়াছি, সুতরাং তিনি মনে করিলেন, আর কোনও কারণে পড়িয়াছে। তিনি পাখীটিকে কুড়াইয়া লাইলেন। নিকটবর্ত্তী এক পুষ্করিণীর ঘাটে লইয়া অঙ্গুলির অগ্রভাগে করিয়া তার মুখে জল দিতে লাগিলেন। সুখের বিষয় পাখীটি মরিল না।