পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না গেলেও নয়। অবশেষে অনিচ্ছাক্রমে গেলেন, তখন বাবদের কৌশলের কথা মনেই । আসিল না। সেখানে উপস্থিত হইয়া দেখেন বড়বাব ও বড়কতা বসিয়া আছেন। DBDBBDBB BDBDDBD BDBD BuDBDD DBD BBS DDB DBDDDBSDBBD আমাকে ডেকেছেন কেন ?” বড়কতা দেখিয়াই বঝিলেন, গতিক ভালো নয়। তখন বড়বাবকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, “বাব, আমি বলাতেই হারাণের বলা হচ্ছে। আমি বলছি শনিন আমাদের বৌ কলকাতায় গিয়ে আছেন বটে। কিন্তু ছেলের বাড়িতে নাই, তাঁরই বাড়িতে তাঁর কাছে ছেলে আছে।” যেই এই কথা বলা অমনি বাবা দ্রুতবেগে সে সােথান ত্যাগ করিয়া আসিলেন, এবং বড়কতা তাঁহাকে অপমানিত করিলেন বলিয়া তদবধি তিন বৎসর তাঁহার মািখ प्रकाशन् दर्शद्भ८ळन् न्ा । বাবাকে যে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ন্যায় একগয়ে বলিয়াছি তাহারও অনেক দািলটান্ত আছে, তাহার কয়েকটি উল্লেখ করিতেছি। প্রথম একগয়েমোর দলটান্ত, আমার দ্বিতীয় বিবাহ। অগ্রেই বলিয়াছি যে, বাবা কোনো কারণে আমার প্রথমা পত্নী প্রসন্নময়ীর প্রতি ও তাঁহার অস্ত্রীয়-স্বজনের প্রতি বিরক্ত হইয়া প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন যে প্রসক্ষময়ীকে ত্যাগ করিয়া আমাকে দিবতীয়বার বিবাহ দিবেন। তাঁহাকে এই প্রতিজ্ঞা হইতে বিচলিত করিবার জন্য অনেকে চেন্টা করিয়াছিলেন। আমার মাতা ইহার বিরোধী ছিলেন। আমি তখন ১৭ ৷৷ ১৮ বৎসরের ছেলে, আমি অমত প্রকাশ করিয়াছিলাম। আমার মাতামহী প্রসন্নময়ীকে ভালোবাসিতেন, তিনি ঘোর আপত্তি উত্থাপন করিয়াছিলেন। গ্রামের জ্ঞাতি-কুটম্পব বন্ধ-বান্ধবের মধ্যে অনেকে আপত্তি উত্থাপন করিয়াছিলেন। বাবা কাহারও কথাতেই কর্ণপাত করিলেন না, বিবাহ দিয়া। তবে ছাড়িলেন। আর একটি বিষয়ও এইরােপ স্মরণীয়। আমি ব্রাহমসমাজে যোগ দিলে তিনি বললেন, “আমার পৈতৃক বিষয়ের এক কানা কড়িও ওকে দেব না।” মধ্যে একটা উইল করিয়া আমার কনিষ্ঠা ও সব জ্যোঠা ভগিনীদ্বয়কে বাস্তুভিটাতে স্থাপন করিবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। সে উইল গোপনে বাহির করিয়া লইয়া আমার মা ছিাড়িয়া ফেলেন। তৎপরে বহ বৎসর চলিয়া গেল। আমি নিজ ব্যয়ে বাবা ও মারি মস্তক মা তাহাতে কয়েক বৎসর বাস করিয়া সবগারোহণ করিলেন। তাঁহার সবগারোহণের পর বাবা নিজের সেই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করিবার জন্য আবার এক উইল করিয়া আমার কনিষ্ঠা ভগিনীকে পৈতৃক ভিটাতে সন্থাপন করিলেন এবং আমাকে সমাদয় পৈতৃক সম্প্রপত্তি হইতে বণ্ডিত করিলেন। সামান্য চারিখন্ড ব্রহেয়াত্তর জমি ছিল, তাহার তিনখণড আমার তিন ভগিনীকে দিয়া, তাহদের অন্যারোধে সামান্য একখন্ড জমি আমার পত্র প্রিয়নাথকে দিলেন। তাঁহার দইখানি গ্রন্থের একখানি প্রিয়নাথকে ও অপরখানি আমার পত্নী বিরাজমোহিনীকে দিলেন। আমার নিমিত কোটা বাড়িটি তিনি যে আমার কনিষ্ঠা ভগিনীকে দিয়াছেন, তাঁহার এই ব্যবস্থাতে আমি সম্পমতি দিয়াছি, কারণ আমার কনিষ্ঠা ভগিনী প্রাণ দিয়া বহল বৎসর তাঁহার সেবা করিয়াছে। আমি প্রথমে বলিয়াছিলাম, “উইল লেখা, উইল রেজিস্টারি করা প্রভৃতির প্রয়োজন কি ? আপনার কি ইচ্ছা বলিয়া যান। আমি তদনরপে ব্যবস্থা করিব।” শেষে ভাবিলাম, একগয়ে মানষের মনের ইচ্ছাটা সম্পন্ন না হইলে মনটা স্থির হইবে না, তাই ՀԳ ծ