পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবানীপরে চৌধরিী মহাশয়দিগের বাড়িতে বাসকালে প্রায় প্রতি রবিবার প্রাতে যখন কালীঘাট হইতে জীবন্ত পঠিা আসিত, সে পঠিার ডাক শানিলেই আমার পড়াশোনা বন্ধ হইত। তাহাকে কাটিয়া কুটিয়া রধিয়া পেটে না পরিতে পারিলে DD DBB S BDBDDBDB BDDuBLBD D DDB BuBDB D DDBD DDBB DDDD BBDDBDD DDD DDBD DDD BBD DBB DDD BDBBS DDBDDB D লজিক পড়িতে আরম্ভ করিলাম। বন্ধদের সহিত হাসি-ঠাট্টা ও গল্পগাছা করিতে ভালোবাসিতাম, কিছদিন মনের কান মলিয়া দিয়া মৌনৱত ধরিলাম। এই মনের কান মলাটা তখন অতিরিক্ত মাত্রায় করিতাম । হািদয়ে ধমভাবের উন্মেষ হওয়া অবধি আমি কলেজের পরীক্ষাতেও উৎকৃষ্ট হইতে লাগিলাম। তদবধি প্রতি বৎসর আমি কলেজে প্রথম স্থান অধিকার করিতে লাগিলাম। আত্মনিগ্রহের উদ্দেশ্যে, পাঠ্য বিষয়ে মধ্যে মধ্যে অপ্রীতিকর বোধে যে যে বিষয় অবহেলা করিতাম, তাহাতে অধিক মনোযোগী হইলাম। আমার মনে আছে, অগ্রে অঙ্কে অমনোযোগী ছিলাম, তাহার ফলস্বরূপ পরীক্ষাতে কখনো এক শতের মধ্যে বিশের উপর নম্বর পাইতাম না। ১৮৬৬ সাল হইতে তাহা বদলাইয়া গেল। অঙ্কে এরাপ মনোযোগী হইলাম যে ঐ বৎসর বিশববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষাতে হইলাম। তৎপরে সেই প্রতিজ্ঞা ও সেই দঢ় ব্রত রহিয়া গেল।" কি কঠিন সংগ্রাম করিয়া ১৮৬৮ সালে এল. এ. পরীক্ষাতে উত্তীণ হইয়াছিলাম ও ৫৯০ টাকা স্কলারশিপ পাইয়াছিলাম, তাহার বণনা ক্রমশ করিতেছি। আমার নব ধমভােব আমাকে সেই সংগ্রামে শক্তি দিয়াছিল। বলিতে কি, আমার ধমজীবনের আরম্পভ হইতে এই ১৮৬৮ সাল পর্যন্ত কালকে শ্রেষ্ঠ কাল বলিয়া মনে করি। এই সময়টা যে ভাবে যাপন করিয়াছিলাম, সেজন্য মন্তিদাতা প্রভু পরমেশবরকে মন্তকণ্ঠে ধন্যবাদ করি। বিনয়, বৈরাগ্য, ব্যাকুলতা, প্রার্থনাপরায়ণতা প্রভৃতি ধমজীবনের অনেক উপাদান এ-সময়ে আমার অন্তরে বিদ্যমান ছিল। আমার যত দর স্মরণ হয়, তখন আমার মনের ভাব এই প্রকার ছিল যে, আমার ধমাবন্ধিতে থাকিয়া ঈশবর যে পথ দেখাইবেন তাহাতে চলিতে হইবে, ক্ষতি লাভ যাহা হয় হউক। সকল বিষয়ে ও সকল কাযে ঈশবর চরণে প্রাথনা করিতাম, এবং যাহা একবার কতব্য বলিয়া নির্ধারণ করিতাম, তাহাতে দাজয় প্রতিজ্ঞার সহিত দশডায়মান হইতাম, ফলাফল ও জীবন মরণ বিচার করিতাম না। ইহার নিদশন। স্বরপ যোগেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও উপেন্দ্রনাথ দাসের বিধবা বিবাহ দেওয়া, ও আমার এল. এ. পরীক্ষার জন্য গারতের শ্রম, প্রভৃতি ঘটনার উল্লেখ করিতে পারা যায়। সে সকল ক্রমশ বর্ণনা করিতেছি। বন্ধর বিধবাবিবাহ ও সামাজিক নিযাতন। প্রথম ঘটনা, যোগেন্দ্রের বিধবাবিবাহ। এই বিবাহ ১৮৬৮ সালের প্রথম ভাগে হয়। ইহার ইতিবত্ত এই। ঈশানচন্দ্র রায় নামক নদীয়া-কৃষ্ণনগর নিবাসী ও কলিকাতা প্রবাসী একটি যােবক তখন কলিকাতা মেডিকেল কলেজে পাঠ করিতেন। তাঁহার সঙ্গে তাঁহার মাতা ও একটি বিধবা ভগিনী ছিলেন। আমার জ্ঞাতি দাদা হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন (যিনি পরে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক হইয়াছিলেন) ঐ মেয়েটিকে পড়াইতেন। হেমন্দাদার নিকট আমি মেয়েটির প্রশংসা সবাদা শনিতাম। তিনি আমাকে বলিতেন যে, মেয়েটির ভাই তাহার। আবার A Gz