পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o 9 শিবনাথ শাস্ত্রীর অ’ ঋচাম৷ 8ર્ણ পরিঃ বিদ্যার সাগর তব মূর্থের প্রধান, : টিকিদার ভট্টাচার্য্য, নাহি কোন জ্ঞান। ইংরাজ মেয়েদের প্রশংসা করিয়া লিখিলাম ধবলাঙ্গী তাম্রাকেশী বিড়াল-লোচনা, । বিবাহ করিব সুখে ইংরাজ-ললনা । এই সূত্রে প্যারীবাবুর নিকট আমার একটা পসার দাড়াইল । তাহার একটি ফল মনে আছে। ইহা বোধ হয় ইহার কিছু দিন পরে ঘটয়া থাকিবে। একবার আমার বন্ধু উমেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় চট্টগ্রামবাসী প্রেসিডেন্সী কলেজের অন্যতম ছাত্র নবীনচন্দ্র সেনের লিখিত একটি কবিতা আনিয়া আমাকে দেখাইলেন। কবিতাটা পড়িয়া আমার বড় ভাল লাগিল। আমি উমেশের সঙ্গে নবীনবাবুর বাসাতে গিয়া তাহার সহিত দেখা করিলাম, এবং সেই কবিতাটি এডুকেশন গেজেটে প্রকাশ করিবার জন্য উৎসাহিত করিলাম। আমার অনুরোধে তিনি কবিতাটি , আমার হাতে দিলেন। আমি কাটিয়া কুটিয়া তাহাতে নিজে কিছু যোগ করিয়া প্যারীবাবুর হাতে দিয়া আসিলাম। তিনি তাহা এডুকেশন গেজেট ছাপিলেন এবং নবীনকে ডাকিয়া উৎস হিত করিলেন। পরে নবীনচন্দ্র সেন মহাশয়ের কবিতা-গ্রন্থ মুদ্রিত হইতে পড়িয়া দেখিয়াছি, তাহাতে সেই কবিতাটি আছে, এবং, যতদূর মনে হয়, আমার প্রক্ষিপ্ত দুই চারি পংক্তি এখনও রহিয়াছে। আমার এখন স্মরণ করিয়া হাসি পায়, আমি সেই অল্পবয়সে কাব্য-জগতে কিরূপ মুরুব্বি হইয়া প্যারীচরণ সরকারের সংশ্রবে। আসার ফল ; সুরাপানে বিদ্বেষ ॥-প্যারীবাবুর সংশ্রবে -আসিয়া আমার আর-এক উপকার ইল। সুরাপানের উপর আমার দারুণ বিদ্বেষ জন্মিল। তাহার একটী । প্রমাণ আমার মনে আছে। আমি অগ্রেই বলিয়াছি, ভবানীপুরে যে