পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እ ዓ8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৬ষ্ঠ পরিঃ মহৎভাব দেখাইবার জন্য আদিম প্রফেটদিগের ভবিষ্যদ্বাণীর সহিত পরবত্তী ঘটনা তুলনা করিয়া দেখাইতে লাগিলেন, এবং আমাকে একখানি বাইবেল উপহার দিলেন ; আমার প্রতি পুত্রাধিক স্নেহ প্রদৰ্শন করিয়া বিদায় করিলেন। আমি ভাবিতে ভাবিতে আসিলাম, “ইনি কেন খ্রীষ্টীয় ধর্ম্মে भौभिाऊ श्न ना ?” শ্যামবাজারের উপদেশের ধাক্কা এখানেও থামিল না। কয়েকদিন পরেই সিন্দুরিয়াপটী পারিবারিক-সমাজ হইতে ক্ষেত্রনাথ শেঠ নামে একজন সভ্য আসিয়া উপস্থিত। আসিয়া আমাকে বলিলেন যে, উক্ত পারিবারিকসমাজের সকলের ইচ্ছা যে, আমি তাহদের সমাজের আচার্য্যের ভাব গ্রহণ করি। অগ্রে অযোধ্যানাথ পাকড়াশী মহাশয় সেই সমাজের আচার্য্যেয় কার্য্য করিতেন ; কিন্তু কার্য্যবাহুল্য নিবন্ধন তিনি সেই ভার পরিত্যাগ করিয়াছেন, এখন আমাকে গ্রহণ করিতে হইবে। পাকড়াশী মহাশয়ের প্রতি আমার প্রগাঢ় শ্রদ্ধা ছিল । আমি তাহার উপদেশে বিশেষ উপকৃত হইয়াছি। আর বাস্তবিক ব্রাহ্ম আচার্য্যদিগের মধ্যে চিন্তাশীলতা মৌলিকতা ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টি বিষয়ে এরূপ অল্প লোক দেখিয়াছি। তঁহার পরিত্যক্ত বেদী আমি গ্রহণ পূরিব, ইহা ভাবিয়া সঙ্কুচিত হইলাম। কিন্তু তাঁহাদের হাত এড়াইন্ডে পারিলাম না। শেষে, এক শুক্রবারে গিয়া উপাসনা করিতে স্বীকৃত হইলাম। এবারেও উপদেশ লিখিয়া লইয়া গিয়াছিলাম। এই একবার উপদেশ দিয়া আমার বিপদ দশগুণ বাড়িয়া গেল। তঁহারা আমাকে নাছোড়-বান্দা হইয়া ধরিলেন । কাজেই আচার্য্যের ভার আমাকে গ্রহণ করিতে হইল। এই ভার আমার প্রভূত আধ্যাত্মিক উন্নতির ও আচার্য্যের কার্য্যশিক্ষার উপায়স্বরূপ হইল। আমি কয়েক বৎসর এই কাজ করিয়াছিলাম। যেখানেই থাকি, শুক্রবার সন্ধ্যার সময় সিন্দুরিয়াপটীতে আসিয়া উপস্থিত হইতাম ; কি বলিব, সে বিষয় সপ্তাহকাল ভাবিতাম ; উপাসক-মণ্ডলীয় অভাব নিজ চিত্তে ধারণ