পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»vʻq o -ʻR 3 স্ত্রী-স্বাধীনতার আন্দোলন Yas কেশব বাবু—সে ত ভালই, তিনি আসুন। করা যাবে কি, কেন ভাবিছ ? আবার করা যাবে কি ?’ । কান্তি বাবু-কিরূপে চলবে ? কেশব বাবু-ত ভাববার তোমার অধিকার কি ? যিনি আনছেন, তিনিই তার উপায় করবেন। . . তাহার এরূপ বিশ্বাস ও নির্ভরের ভাব অনেক স্থলে দেখিয়াছি। { নগেন্দ্রবাবু কৃষ্ণনগরে তাহার জননীকে রাখিয়া একটি পুত্র ও পত্নী সহ আশ্রমে আসিলেন। . . কিন্তু তঁহার আসিবার অচিরকালের মধ্যে কেশব বাবুর অনুগত প্রচারক দলের সহিত আমার ও নগেন্দ্রবাবুর অগ্রীতি জন্মিতে লাগিল। স্ত্রী-স্বাধীনতার আন্দোলন ।--আমার প্রতি অগ্রীতি জন্মিবার দুই কারণ। প্রথম কারণ, এই সময়ে স্ত্রী-স্বাধীনতার আন্দোলন উপস্থিত হইল। ১৮৭২ সালে আমার বন্ধু দ্বারকানাথ গাঙ্গুলী, দুৰ্গামোহন দাস, রজনীনাথ রায়, অন্নদাচরণ খাস্তগির প্রভৃতি কতকগুলি ব্রাহ্ম কেশব বাবুকে বলিলেন যে, তাহারা তাহদের পরিবারস্থ মহিলাদিগকে লইয়া মন্দিরে পর্যাদার বাহিরে বসিতে চান। কেবল এ কথা যে বলিলেন তাহা নহে, একটা কিছু স্থির হইতে না হইতে একদিন অন্নদাচরণ খাস্তগির ও দুর্গামোহন দাস স্বীয় স্বীয় পত্নী ও কন্যাগণ সহ পর্দার বাহিরে সাধারণ উপাসকদিগের মধ্যে গিয়া বসিলেন। এইরূপ কয়েকবার বসিতেই উপাসক-মণ্ডলীর অপরাপর সভ্যগণ আন্দোলন উপস্থিত করিলেন। অনেকে এতদূর গেলেন যে, কেশব বাবুকে বলিলেন, তাহা হইলে তঁহাদিগকে মন্দিরে আসা ত্যাগ করিতে ইয়। ঐ সময়ে একদিন সমাগত মহিলাদিগকে পর্দার বাহিরে বসিতে নিষেধ করা হইল ; তাহাতে । उमडिनैग দল স্নাথ গেলেন। কেশব বাবু বিপদে পড়িলেন। কিরূপে উভয় পক্ষ রক্ষা হয়, সেই চিন্তাতে প্রবৃত্ত হইলেন।