পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2 শিবনাথ শাস্ত্রার আত্মচারিত [ दिङौक्ष প্রাতে সুতিকাগৃহের দ্বারে দাড়াইয়া মোহর দিয়া ভাগিনার মুখ দেখিলেন । জননীর মুখে শুনিয়াছি, আমার মামা আমার মাথা ও কপাল দেখিয়া বলিয়াছিলেন, “আমার এই ভাগিনা বড়লোক হবে।” ক্রমে সূতিকাগৃহ হইতে বাহির হইয়া আমি মাতামহী মামী ও মাসাদের কোলে বাড়িতে লাগিলাম । বিশেষতঃ আমার মেজমাসী একদণ্ড আমাকে কোল হইতে নামাইতেন না । মাতার সহিত মজিলপুরে আগমন -কিন্তু আমি পৃথিবীতে পদার্পণ করিবামাত্র মাতুলগৃহে ঘোর বিপ্লব উপস্থিত হইল। পূর্বেই বলিয়াছি, আমার মাতামহ মহাশয় স্বীয় অবস্থার উন্নতি করিয়া পৈতৃক ভিটা পরিত্যাগপূর্ব্বক, তাহার নাতিদূরে একটি দ্বিতল প্লাশ বাড়ী নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন । ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতের ঐ দ্বিতল বাড়ীটি পাড়ার লোকের চক্ষুশূল হইল। একখণ্ড পতিত জমি ক্রয় করিয়া সেই জমির উপরে ঐ বাড়ীটি নির্ম্মিত হইয়াছিল। কিন্তু ভূমিখণ্ড বহুদিন পতিত অবস্থাতে থাকাতে তাহণের উপর দিয়া লোকের যাতায়াতেব পথ হইয়া গিয়াছিল । বহু বহু বৎসর ধরিয়া লোকে সেই পথ দিয়া যাতায়াত কবিতা । কিন্তু মাতামহ যখন তাহা ক্রয় কবিয়া, প্রাচীরের দ্বারা আবদ্ধ কৰি স্বা, তদুপরি গৃহনির্ম্মাণ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন, তখন তাহা লইয়। বিবাদ ও বিষম দলি ও তাহার ফলস্বরূপ মামলা মোকদম উপস্থিত হইল। তখন প্রতিবেশীগণ আমার মাতুল-পরিবারের প্রতি এরূপ উপদ্রব আবিস্ত কবিল যে, তাহারা বাধ্য হইয়া গ্রাম পরিত্যাগ করিয়া কলিকাতায় আসিয়া বাস করিতে বাধ্য হইলেন। সেই সূত্রে আমার ছয়মাস বয়সে জননী আমাকে লইয়া আমাদের বাসগ্রাম মজিলপুরের বাটীতে গেলেন। আমার প্রপিতামহ তখন সকল কর্ম্ম হইতে অবসৃত হইয়া । গৃহে আসিয়া বসিয়াছেন ; চক্ষে দেখেন না, কানে শোনেন না । তিনি আমাকে পাইয়া “আমার বংশধর আসিয়াছে” বলিয়া মহা